ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই দেশে মামলাও দায়ের হয়েছে। আনার হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশ থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর কলকাতায় গ্রেপ্তার হয়েছে দুইজন।
বুধবার (২২ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় খুন করার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
শেরে-বাংলা নগর থানার ওসি মো. আহাদ আলী বলেন, অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন তদন্ত করে আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
এমপি আনার সংসদ ভবন এলাকায় থাকতেন। সেখান থেকে তিনি ভারতে গেছেন। তাই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) প্রধান হারুন-অর-রশিদের পরামর্শে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করেন তার মেয়ে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমের খুনের ঘটনা নিয়ে কলকাতার নিউ টাউন থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে এই মামলা রুজু করেছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
চিকিৎসার জন্য গত ৮ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর কলকাতায় এমপি আনার খুন হন- বুধবার এমন খবর আসে। তবে তার মরদেহ উদ্ধার হয়েছে কি না তা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়েছে।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছে সন্দেহে একটি গাড়ি জব্দ করেছে কলকাতা নিউটাউন পুলিশ।
নিউটাউন থানার সামনে গাড়ির ভেতর থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে ফরেনসিক টিম। গাড়ির মালিক গাড়িটি ভাড়ায় ব্যবহার করতে দিয়েছিলো। বুধবার সন্ধ্যায় নিউটাউন থানায় যান গাড়ির মালিক। যদিও সেখানে সাংবদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি তিনি।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দার ভাড়া করা ফ্লাটে ওঠেন এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার।
বুধবার (২২ মে) অভিযান শেষে নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনস থেকে বেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের আইজি সিআইডি অখিলেশ চতুর্বেদী এ তথ্য জানান।
অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, যে ফ্ল্যাটটিতে ওই সংসদ সদস্য এসে উঠেছিলেন, সেটি সন্দীপ রায় নামে এক ব্যক্তির। তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবগারি দপ্তরে কাজ করেন। তিনি ভাড়া দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা (প্রবাসী বাংলাদেশি) আখতারুজ্জামান নামে এক ব্যক্তিকে।
আনোয়ারুল আজিম আনার ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে একটানা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।