ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি দূর করতে ও স্পষ্টীকরণের জন্য একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাংক একীভূতকরণ বিষয়ে বিভিন্ন প্রকার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যা অনেক ক্ষেত্রেই প্রকৃত তথ্যনির্ভর নয়। ফলে ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে জনমনে নানারকমের বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, মূলত দু’টি উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক “ব্যাংক একীভূতকরণ” নিয়ে কাজ করছে:
এক. ২০২৬ সালে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। ফলে উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে কার্যকর ব্যাংকিং সেবা প্রদানের জন্য দেশে অধিক সক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন হবে যাতে করে অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোনোরূপ বাধার সৃষ্টি না হয়।
দুই. অপেক্ষাকৃত দুর্বল ব্যাংকের বিদ্যমান সমস্যা সমাধান এবং একইসাথে অপেক্ষাকৃত সবল ব্যাংকের কার্যক্রম উন্নয়নের মাধ্যমে আর্থিক খাতকে শক্তিশালী করা যাতে করে জনস্বার্থে একীভূত ব্যাংক-কোম্পানি অধিকতর সেবা প্রদান করতে পারে। জনমনে সৃষ্ট বিভ্রান্তি দূরীকরণার্থে ব্যাংক একীভূতকরণের উদ্দেশ্য ও ফলাফল বিষয়ে সবার জ্ঞাতার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক জানাচ্ছে যে,
১. একীভূতকরণের প্রক্রিয়াধীন ব্যাংকগুলোতে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীদের জমা করা আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকবে। একীভূতকরণের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরও স্ব স্ব ব্যাংকের হিসাবধারীদের বর্তমান হিসাব আগের মতো চলমান থাকবে।
২. একীভূতকরণের আওতাভুক্ত ব্যাংকগুলোর উদ্যোক্তা পরিচালক, বর্তমান পর্ষদ ও সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতির ভিত্তিতেই একীভূতকরণের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
৩. বাংলাদেশ ব্যাংকের চলতি বছরের ৪ এপ্রিল জারি করা নীতিমালা অনুসরণ করেই একীভূতকরণের সকল কার্যক্রম সম্পাদন হবে।