<< বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি: ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা লুট

বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে লুটের অভিযোগ উঠেছে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে। সন্ত্রাসীরা ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ও আনসার সদস্যদের ১৪টি অস্ত্র লুট করেছে। এ সময় ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করা হয়।

ঘটনার পর থেকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ওই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার রেখেছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনা ঘটে। রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত ইউএনও) মো.দিদারুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ইফতারের কিছুক্ষণ পরে নামাজ পড়তে যান সোনালী ব্যাংকের রুমা উপজেলা শাখার কর্মচারীরা। এ সময় আনসারের ৪ সদস্য ব্যাংকের পাহারায় ছিলেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রায় ৬০-৭০ জন অস্ত্রধারী ব্যাংকে আক্রমণ করে। প্রথমে তারা ব্যাংকের পাহারায় থাকা আনসার সদস্যদের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে বেঁধে রাখে। এরপর তারা ব্যাংকের ভেতরে ঢুকে লকার ভেঙে টাকা লুট করে।

ব্যাংক থেকে টাকা লুট করার সময় অস্ত্রধারীদের ৪০-৫০ জন বাইরে পাহারায় ছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম জানান, রাত ৯টার দিকে সন্ত্রাসীরা রুমা শাখায় হামলা করেছে বলে জেনেছি। ঘটনার পর থেকে ম্যানেজারের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সন্ত্রাসীরা ভল্ট ভেঙে কত টাকা লুট করেছে সঠিক জানি না।

রুমা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শৈবং মারমা বলেন, সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা নামাজের যাওয়ার পর সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের টাকা লুট করে। এ সময় ৬০-৭০ জন অস্ত্রধারী ছিল বলে শুনেছি।

রুমা থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তে আমরা কাজ করছি। ব্যাংক থেকে ঠিক কত টাকা লুট হয়েছে তা ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা আসলে বলা যাবে। ঘটনার পর থেকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ নিরাপত্তা জোরদার করে রেখেছে।

ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপককে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত চলছে।

রুমা উপজেলার অতিরিক্ত নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত এসিল্যান্ড মো. দিদারুল আলম জানান, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আনসারের ৪টি অস্ত্রসহ টাকা লুট করেছে জানতে পেরেছি।