ত্রাণের ট্রাকে আসা খাবার নিতে বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেলে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন নারী শিশুসহ ক্ষুধার্থ মানুষ। সারাদিন রোজা রাখার পর সেই খাবারে ইফতার করবেন—এমন আশাই ছিল। কিন্তু তা আর হলো না। ইসরায়েলি বাহিনী সেই লাইনে গুলি চালায়। এতে নিহত হয় ৬ ফিলিস্তিনি, আহত হয় অনেকে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) এসব তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, বুধবার গাজার উত্তরাঞ্চলে কুয়েতের ত্রাণের গাড়ি আসার কথা ছিল। সেজন্য ফিলিস্তিনিরা লাইনে দাঁড়ান। তাতেই হামলা করে ইসরায়েল। তবে এই হামলার ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
গত পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। নির্বিচার হামলায় গাজা প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। নিহত হয়েছে ৩১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। আর ভূখণ্ডটির ২৩ লাখ বাসিন্দারা প্রায় সবাই ঘরবাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছে। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে রোজা। তাতেও হামলা কমেনি।
এর আগে গত মাসের শেষদিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি গুলিতে অন্তত ১০৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ৭০০ জন। তারা খাদ্য সহায়তার জন্য অপেক্ষা করছিল। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
খাদ্য সহায়তার জন্য অপেক্ষমাণ ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালানোর বিষয়ে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলকে দেশটির এক সেনা কর্মকর্তা জানান, খাবারের জন্য অপেক্ষমাণ ফিলিস্তিনিরা বেশ ‘বিপজ্জনকভাবে’ তাদের দিকে এগিয়ে আসছিলেন। ফলে ইসরায়েলি সেনারা তাদের উদ্দেশ্য করে গুলি ছোঁড়ে।