এবার ক্ষমতায় আসতে না পারলে গত ১৫ বছরের উন্নয়ন লুট হয়ে দেশ অন্ধকারে চলে যেতো বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জার্মানির মিউনিখে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে নাগরিক সংবর্ধনায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের পাশে থেকে, তাদের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে আওয়ামী লীগ। নিজেরা সংগঠিত হতে না পেরে বিএনপি জনগণ ও আওয়ামী লীগকে দোষ দিয়ে যাচ্ছে। জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। পঁচাত্তর পরবর্তী এবার সবচেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। রাজনৈতিক দল সংগঠিত না থাকলে দুর্যোগ মোকাবেলা কঠিন। মানুষের পাশে থেকে আওয়ামী লীগ জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে।
বর্তমানে মানুষের আর্থিক স্বচ্ছলতা এসেছে। আমার খাদ্যেও স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। আগে যারা একবেলা খেতে পারতো না, আল্লাহর রহমতে তারা এখন তিন বেলা খায়। অনেকে চারবেলাও খেতে পারছে বলেও জানান তিনি।
এ সময় খাদ্য ঘাটতি মিটিয়ে উল্টো ২৬ লাখ মেট্রিকটন খাদ্য গুদামে রেখে ২০০১ সালে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, পরে আবারও সরকারে এসে দেখি সেই ২৬ লাখ মেট্রিকটন খাদ্য ঘাটতি রেখে গেছে আগের সরকার।
তবে আজকের বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের বাংলাদেশ, চাল, মাছ, সবজি, ডিম, মাংস উৎপাদনে এগিয়ে গেছে। আগে যে সব অঞ্চলে মঙ্গা ছিল সে সব এলাকার মানুষ আর কষ্টে নেই। এখন তাদের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। আগে অনেকেই একবেলা খেতে পারতো না, তাদের চাহিদাই ছিল নুন-ভাত বা ডাল-ভাত। এখন মানুষ বলে মাছের দাম বাড়ল কেন, ডিমের দাম বাড়ল কেন, মুরগির দাম বাড়ল কেন, পেঁয়াজের দাম বাড়ল কেন, এসব নিয়েই চিৎকার শুনি। আছে, মানুষের খাদ্যাভ্যাসেরও পরিবর্তন হয়েছে। মোটা চাল এখন অনেকেই খায় না। এটাই আশার কথা।’
এ সময় ভোজ্যতেলের ৪০ শতাংশ চাহিদা দেশের উৎপাদনে মেটানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়া আটা-ময়দার চাহিদা মেটাতেও শষ্য উৎপাদনে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ। সে জন্য জনগোষ্ঠীকে তৈরি করা হচ্ছে। সে জন্য কাজ চলছে। বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, স্টার্টআপ প্রোগ্রামের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কর্মসংস্থান ব্যাংকের মাধ্যমেও সহজ ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।