ওআইসিভুক্ত ১৪ দেশের রাষ্ট্রদূতকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে ফিলিস্তিনে ওষুধ এবং জরুরি অন্যান্য জিনিসপত্র পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাঠানোর পথ ক্লিয়ার না হলেও আমরা ফিলিস্তিনে ওষুধ পাঠাবো। এছাড়া আগামী শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) বাংলাদেশের সব মসজিদে ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়া পড়ানো হবে।
তিনি বলেন, শিগগির একটি শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। মন্ত্রিসভার মাধ্যমে সেটি জানানো হবে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওআইসিভুক্ত ১৪ দেশের রাষ্ট্রদূতে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
সচিব বলেন, বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ফিলিস্তিনের হাসপাতালে যে অ্যাটাক করেছে সেখানে বহু শিশু এবং নারী মারা গেছে। সে সম্পর্কে তারা (১৪ দেশের রাষ্ট্রদূতরা) তাদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন। ফিলিস্তিনিদের ব্যাপারে বাংলাদেশের যেই সমর্থন আছে, সেই সমর্থন যেন অব্যাহত থাকে সেটাও চান তারা।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই ধরনের সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার। হাসপাতালের উপর যে হামলা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমস্যার মূল যে কারণগুলো রয়েছে, এগুলো বের করে বিশ্বসম্প্রদায়কে একটা সমাধানের পথ বের করতে হবে। তার জন্য দরকার মুসলিম উম্মাহর ঐক্য। ঐক্য হলে ফিলিস্তিনিদের অধিকার নিশ্চিত হবে।
সচিব বলেন, মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের উপর প্রধানমন্ত্রী বার বার জোর দিয়েছেন। মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধ হলে ফিলিস্তিনিদের অধিকার নিশ্চিত হবে। আর ২৩৮ এবং ৩৪২ যে রেজুলেশনগুলো আছে, সেগুলো বাস্তবায়িত হয়নি।
সচিব আরও জানান, আজকে ওআইসি একটা জরুরি সভা ডেকেছে। সেখানে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আছেন। তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তারা একটা রেজ্যুলেশনে এই মুহূর্তে কাজ করছে। আজকে যারা রাষ্ট্রদূত ছিলাম তারা এবং প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। এর মাধ্যমে শক্তিশালী বার্তা যাবে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে, যে এটা চলতে পারে না। যুদ্ধ বা সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। এই সমস্যার সমাধান যেন নতুন করে করা হয়।
সচিব বলেন, আমরা সবসময় তাদের (ফিলিস্তিনি) পাশে ছিলাম, আমরা তাদের পাশে থাকব। এবারও আমরা ওষুধ এবং জরুরি সামগ্রী পাঠাবো। আন্তর্জাতিকভাবে যতগুলো ফোরাম আছে আমরা সেখানে সক্রিয় ভূমিকা রাখব।
রাষ্ট্রদূতদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা সবাই একসঙ্গে হয়েছেন এটাও একটা মেসেজ।
সচিব জানান, ফিলিস্তিনের সমস্যার কথা চিন্তা করে তারা (রাষ্ট্রদূতরা) সবাই একত্র হয়েছেন, এক ভয়েজে কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর যথেষ্ট প্রশংসা করেছেন।