নিপীড়িত ফিলিস্তিনের সঙ্গে সম্পর্ক জোড়ালো করার অংশ হিসেবে শনিবার (১২ আগস্ট) দেশটিতে প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করেছে সৌদি আরব। তবে ইহুদিবাদী ইসরায়েল ঘোষণা দিয়েছে, দখলকৃত জেরুজালেমে সৌদিকে কোনো কনুস্যলেট খুলতে দেবে না তারা।
ফিলিস্তিনে এমন সময় সৌদি রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করল— যখন যুক্তরাষ্ট্র সৌদির সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনেতিক সম্পর্ক স্থাপনে তৎপরতা চালাচ্ছে।
জর্ডানে নিযুক্ত সৌদি দূত নায়েফ আল-সুদাইরিকেই ফিলিস্তিনের দূত বানিয়েছে রিয়াদ। ইসরায়েলকে পাশ কাটিয়ে ইতোমধ্যে জর্ডানে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নিজের পরিচয়পত্র পেশ করেছেন নায়েফ আল-সুদাইরি। তিনি ফিলিস্তিনি অনাবাসিক দূত হিসেবে কাজ করবেন।
ফিলিস্তিনে নবনিযুক্ত এ দূত সৌদির প্রধানমন্ত্রী ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের চাচাত ভাই। ফিলিস্তিনে তার পদবী হবে ‘অনাবাসিক জেরুজালেম কাউন্সিল জেনারেল।’
আর তার পদবীতে জেরুজালেম থাকার অর্থ হলো এই শহরটিকে ইসরায়েল নয় ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে সৌদি আরব।
তবে জেরুজালেমে সৌদিকে কোনো কনস্যুলেট খুলতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন। রোববার ইসরায়েলি রেডিও ১০৩এফএম এর এক অনুষ্ঠানে তিনি সরাসরি বলেছেন, সৌদির নতুন দূতকে তারা ‘কোনো কনস্যুলেট খুলতে দেবেন না।’
এদিকে ফিলিস্তিনে দূত নিয়োগের মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদির কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের যে পরিকল্পনা চলছিল সেটি বড় ধাক্কা খেয়েছে। ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরেই চাইছে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ দেশটির সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপন করবে। এতে সহযোগিতা করার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র।