আমেরিকার প্রভাব কমাতে মধ্য এশিয়ার নিরাপত্তা সংস্থা সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনে (এসসিও) যোগ দিয়েছে ইরান। এ-সংক্রান্ত একটি স্মারকে বৃহস্পতিবার সই করেছে তেহরান। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লেখেন, “এসসিওর পূর্ণ সদস্যপদের জন্য নথিতে সই করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, ট্রানজিট এবং জ্বালানি সহযোগিতার নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে ইরান।”
চীন, ভারত, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, রাশিয়া, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তানের নেতারা মিলে ২০০১ সালে গঠন করেন-এসসিও। উজবেকিস্তানের সমরকন্দে বৃহস্পতিবার সকালে সম্মেলন করে সদস্য দেশগুলো। এই সম্মেলনের ঠিক আগ মুহূর্তে ইরানের যোগ দেয়ার ঘোষণাটি আসে।
আফগানিস্তান, বেলারুশ, ইরান ও মঙ্গোলিয়া এই গ্রুপের পর্যবেক্ষক দেশ। তাদের ছয়টি ‘সংলাপ অংশীদার’ দেশ আছে। এগুলো হলো আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, কম্বোডিয়া, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও তুরস্ক।
গত বছর ইরানের যোগদানের আবেদন গ্রহণ করে এসসিও। সে সময় তেহরান জানায়, পরমাণু ইস্যুতে পশ্চিমাদের চাপিয়ে দেয়া নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়া জানাতে তাদের সাহায্য দরকার।
সমরকন্দে সম্মেলনে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বলেন, ‘ইরান, রাশিয়া বা অন্যান্য দেশের মতো আমেরিকার নিষেধাজ্ঞায় থাকা অঞ্চলগুলোর মধ্যে সুসম্পর্ক থাকলে অনেক জটিলতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
‘আমেরিকানরা মনে করে, তারা যেকোনো দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তাদের দমাতে পারবে। তাদের ধারণাটি আসলে ভুল।’
জবাবে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ‘রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে সম্পর্ক দারুণভাবে এগোচ্ছে। তেহরানের এসসিও সদস্য হওয়ার প্রশ্নে আমাদের পূর্ণ সমর্থন আছে।’
ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে পূর্ণ সদস্যপদ পাবে ইরান।
২০১৮ সাল থেকে ইরানে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দেশটির অর্থনীতিতে শক্ত আঘাত করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া, চীনের আহ্বান উপেক্ষা করে ইরানের পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসেন।