ইসরায়েলের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ইয়ার লাপিদ। নাফতালি বেনেট প্রধানমন্ত্রী হওয়ার এক বছরের মাথায় ইহুদি এই দেশটির নতুন নেতা হিসেবে দায়িত্ব নিলেন তিনি। শুক্রবার (১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ১ নভেম্বর ইসরায়েলে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সেই সময় পর্যন্ত দেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করবেন তিনি। কারণ সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না।
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তার জোটসঙ্গী ইয়াইর লাপিদের অধীন। কারণ জোটের শর্ত অনুসারে, সরকারের পূর্ণাঙ্গ মেয়াদের অর্ধেক সময় বেনেট ও অর্ধেক সময় লাপিদ প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোটাভুটির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়। আগামী ১ নভেম্বর দেশটিতে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নিয়ে চার বছরের মধ্যে পঞ্চমবারের মতো পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইহুদি এই দেশটিতে।
সংবাদমাধ্যম বলছে, বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি পার্লামেন্টে আইনসভা ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে ভোট গ্রহণ করা হয়। এতে বেশিরভাগ এমপি পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পক্ষে ভোট দেন। মূলত সর্বশেষ যে জোট গঠিত হয়েছিল, তাতে ফাটল ধরায় এই পথে হাঁটল ইসরায়েলি সরকার।
এদিকে, জোট ভেঙে যাওয়ায় খানিকটা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আবারও ক্ষমতায় ফিরবেন তিনি।
বিবিসি বলছে, ইয়ার লাপিদ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কাছ থেকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন। মূলত ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও ক্ষমতায় ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
যদিও ইসরায়েলের নতুন এই প্রধানমন্ত্রী ইতোপূর্বে বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বিরোধের দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এ বিষয়ে তার আপাতত সাহসী নতুন কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার সম্ভাবনা কম।