পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়ালে তা বৈশ্বিক খাদ্যের দাম আরও বৃদ্ধি করবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পাশাপাশি রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের আরোপিত নিষেধাজ্ঞাকে অবৈধ বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ সার উৎপাদনকারী দেশটির এই প্রেসিডেন্ট।
বৃহস্পতিবার রাশিয়ার কৃষিমন্ত্রী দিমিত্রি পাত্রুশেভ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি এক বৈঠকে বলেন, রাশিয়ার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং মস্কো বৈশ্বিক কৃষি বাজারে রপ্তানির বাধ্যবাধকতা মেনে চলবে।
প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, পশ্চিমা সব নিষেধাজ্ঞা অবৈধ এবং রাশিয়া পশ্চিমাদের সৃষ্ট এই সংকটের সমাধান শান্তভাবে করবে। বিশ্বের অন্যতম জ্বালানি শক্তির উৎপাদনকারী মস্কো। ইউরোপের এক তৃতীয়াংশ গ্যাস সরবরাহ করে তারা। ওই বৈঠকে পুতিন বলেছেন, বৈশ্বিক বাজারে চুক্তিভিত্তিক বাধ্যবাধকতা পালন করবে তার দেশ।
ক্রেমলিনের এই নেতা ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ায় এখন অনুভূত হচ্ছে বলে স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এটা স্পষ্ট যে, এমন মুহূর্তে নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের জন্য মানুষের চাহিদা সর্বদা বৃদ্ধি পায়। তবে আমরা শান্তভাবে কাজ করে এসব সমস্যার সমাধান করব; যা নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই।’
‘লোকজন ধীরে ধীরে নিজেদের খাপ খাইয়ে নেবেন। তারা বুঝতে পারবেন, এমন কোনো ঘটনা নেই আমরা যার অবসান অথবা সমাধান করতে পারি না।’
একই বৈঠকে রাশিয়ার অর্থমন্ত্রী অ্যান্টন সিলুয়ানোভ বলেছেন, রাশিয়া পুঁজির বহিঃপ্রবাহ সীমিত করার ব্যবস্থা নিয়েছে। দেশের বাইরের ঋণ রুবলের মাধ্যমে পরিশোধ করবে। তিনি বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে মূলত অর্থনৈতিক ও আর্থিক যুদ্ধ চালিয়েছে।’
রুশ এই অর্থমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমারা রাশিয়ার স্বর্ণ ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ‘ফ্রিজ’ করে রাশিয়ার প্রতি তাদের বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করেছে। আর এটা বৈদেশিক বাণিজ্য ঠেকানোর প্রচেষ্টা। সিলুয়ানোভ বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে আর্থিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল করাই আমাদের অগ্রাধিকার।
সূত্র: রয়টার্স।