চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের দিন থেকেই এ নিয়ে কানাঘুষা শোনা যাচ্ছিল। নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে নায়ক জায়েদ খানকে। অবশেষ আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দিলো চলচ্চিত্রের ১৮ সংগঠনের সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিবার।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শিল্পী সমিতির নির্বাচনের দিন চলচ্চিত্রের বাকি সংগঠনগুলোর সদস্যদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সেদিন অনেক নামি পরিচালক-প্রযোজক ও অন্যান্য কলাকুশলী গেটের সামনে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে ফিরে যান। বিষয়টিকে চলচ্চিত্র ও এখানকার মানুষদের জন্য অপমান ও লজ্জাজনক বলে দাবি চলচ্চিত্র পরিবারের।
তদন্ত ও নানা পর্যালোচনা করে চলচ্চিত্র পরিবার নিশ্চিত হয়েছে জায়েদ খানের জন্যই মূলত সবার প্রবেশ নির্বাচনের দিন নিষিদ্ধ করা হয়। তাই সম্মিলিতভাবে জরুরি বৈঠকে আজ শনিবার জায়েদ খানকে চলচ্চিত্রের সার্বিক কাজে বয়কট করল চলচ্চিত্র পরিবার।
পরিচালক সমিতির উপমহাসচিব অপূর্ব রানা বলেন, ‘আমরা আগে শিল্পী সমিতিসহ ১৮ সংগঠন ছিলাম চলচ্চিত্র পরিবারে। আজ শনিবার থেকে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতিও যুক্ত হয়েছে। আজকের মিটিংয়ে শিল্পী সমিতির প্রতিনিধি ছিলেন না। তাদের ছাড়া ১৮ সংগঠন জায়েদ খানকে বয়কটের ব্যাপারে একমত হয়েছে। তার সঙ্গে ১৮ সংগঠনের কেউ কাজ করবে না। সেই সঙ্গে তার কোনো সিনেমা হল মালিকরা প্রদর্শনও করবেন না।’
‘আমরা লিখিতভাবে এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটিকে জানাবো। জায়েদ খান ছাড়া যদি তারা আসতে পারেন তবে তাদের সঙ্গে কার্যক্রম চলবে চলচ্চিত্র পরিবারের। অন্যথায় না’- যোগ করেন অপূর্ব রানা।
প্রসঙ্গত, চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৮টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘চলচ্চিত্র পরিবার’। ২০১৭ সালে চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুককে আহ্বায়ক করে এ পরিবার নতুন করে যাত্রা করে। মূলত যৌথ প্রযোজনার সিনেমা নির্মাণ ও বিদেশি ছবি আমদানিতে অনিয়মের প্রতিবাদে এই পরিবারের জন্ম।
এরপর চলচ্চিত্রের নানা সংকটে এই পরিবারকে ভূমিকা রাখতে দেখা গেছে।
চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতি, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতি, নৃত্য পরিচালক সমিতি, চিত্রগ্রাহক সমিতি, ফাইট ডিরেক্টরদের সমিতি, সহকারী পরিচালকদের সমিতি, মেকআপম্যানদের সমিতি, প্রোডাকশন ম্যানেজারদের সমিতিসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট মোট ১৮টি সংগঠন নিয়ে এই পরিবার। বর্তমানে এই সমিতির মুখপাত্র চিত্রনায়ক, প্রযোজক ও পরিচালক আলমগীর।