যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোকে ইউক্রেনের আকাশসীমায় নো ফ্লাই জোন ঘোষণা করতে অনুরোধ জানিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লদমির জেলনস্কি।
তবে তার সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা। কারণ ইউক্রেনে নো ফ্লাই জোন ঘোষণা করে তা কার্যকর করতে গেলে রাশিয়ার সঙ্গে তাদের যুদ্ধ বেধে যেতে পারে।
পশ্চিমাদের এ সিদ্ধান্তে বেশ অখুশি হয়েছেন জেলনস্কি। বৃহস্পতিবার বেশ ক্ষুদ্ধ কন্ঠে তিনি বলেন, যদি আকাশ বন্ধ করার শক্তি আপনাদের না থাকে তাহলে আমাকে বিমান (যুদ্ধবিমান) দিন।
এদিকে কোনো স্থানে নো ফ্লাই জোন ঘোষণা করা মানে, সেই নির্দিষ্ট আকাশসীমায় নির্দিষ্ট একটি দেশের কোনো বিমান বা মিসাইল কোনো কিছু ওড়তে পারবে না।
এখন ন্যাটো যদি ইউক্রেনে নো ফ্লাই জোন ঘোষনা করে তাহলে তাদের সেনাদের সেখানে অবস্থান নিতে হবে এবং প্রয়োজন হলে রাশিয়ার বিমানে গুলি চালাতে হবে। গুলি চালিয়ে বিমান ভূপাতিতও করতে হবে।
এতে করে যুদ্ধ পুরো ইউরোপে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশগুলো ইউক্রেনের নো ফ্লাই জোনের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও জানিয়েছেন যদি ইউক্রেনে নিজেদের মিশনে রাশিয়া সফল হয় তাহলে তারা তাদের সাহস বেড়ে যাবে এবং এরপর বাল্টিক অঞ্চলের দেশগুলোকে টার্গেট করবে।
প্রেসিডেন্ট জেলনস্কি বলেন, ইশ্বর ক্ষমা করুক। যদি ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে হেরে যায় তাহলে এরপর রাশিয়া বাল্টিক অঞ্চলের দেশ লাটভিয়া, লিথুনিয়া ও এস্তোনিয়ায় আক্রমণ করে বসবে।
সূত্র: আল জাজিরা