সম্প্রতি মাদক মামলায় জেলে যেতে হয়েছিল ছেলে আরিয়ান খানকে। একের পর এক চেষ্টা করেও ছেলেকে ঘরে ফেরাতে হিমশিম খেয়েছিলেন শাহরুখ-গৌরী দম্পতি।
তবে, অতীতে খোদ কিং খানও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন পুলিশের হাতে? তিন দশক আগের সেই ঘটনার উল্লেখ রয়েছে অনুপমা চোপড়ার লেখা বই, ‘কিং অব বলিউড’ এ।
অনুপমা চোপড়া উল্লেখ করেন, ১৯৯২ সাল। শাহরুখ তখন কাজ করছেন তার বহুল চর্চিত এবং বিতর্কিত ছবি ‘মায়া মেমসাব’-এ। বিপরীতে দীপা শাহী। অনুপমার বই বলছে, সে সময়ে এক পত্রিকায় লেখা হয়, ছবির একটি অতি-ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের প্রস্তুতি হিসেবে নাকি এক হোটেলে রাত কাটিয়ে এসেছেন শাহরুখ-দীপা। নিজের স্ত্রী দীপাকে সেখানে পাঠিয়েছিলেন খোদ পরিচালক কেতন মেহতাই! পরদিন নাকি সেই যৌন দৃশ্যের শুটিং হয় কেতন এবং চিত্রগ্রাহকের উপস্থিতিতেই।
পত্রিকার সেই রিপোর্ট পড়ে রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন শাহরুখ। ‘কিং অব বলিউড’ এ অনুপমা লিখেছেন, কিং খানের সন্দেহ গিয়ে পড়ে কিথ ডি’কোস্টা নামে এক সাংবাদিকের উপর। সোজা তার দফতরে পৌঁছে গিয়ে তাকে রীতিমতো হেনস্থা করেন শাহরুখ। ভুয়া খবর লেখা হয়েছে দাবি করে দেন হুমকিও। এর পরেই নাকি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ওই সাংবাদিক। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার হতে হয় বলিউডের ‘বাদশা’কে।
বইতে লেখা হয়েছে, পরবর্তীতে এক সাক্ষাৎকারে এ ঘটনার কথা স্বীকারও করেন শাহরুখ নিজে। জানান, কীভাবে ওই সাংবাদিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিলেন তিনি। যার ফলস্বরূপ তার ছবির সেটে পৌঁছে যায় পুলিশ। সাদা পোশাকের পুলিশ-কর্মীদের দেখে অবশ্য প্রথমে অনুরাগী বলে ভুল করেছিলেন কিং খান!
তবে, সেই ভুল ভাঙে অচিরেই। পরে জামিনে ছাড়া পেয়ে ‘বাদশা’ জানতে পারেন, কিথ ডি কোস্টা ওই খবরটি লেখেননি। পরে ওই সাংবাদিকের কাছে গিয়ে নাকি ক্ষমাপ্রার্থনাও করে আসেন শাহরুখ।