রাশিয়ায় মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তা বার্ট গোরম্যানকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মস্কো এই বহিষ্কারাদেশ দিয়েছে বলে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র।
সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে ওই মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের দূতাবাসের উপ প্রধান কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করা রাশিয়ার একটি অপ্রস্তুত পদক্ষেপ। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে এটি প্রভাব ফেলবে এবং মস্কোর এই পদক্ষেপের জবাব কীভাবে দেওয়া হবে, তা আমরা বিবেচনা করছি।’
ঠিক কী কারণে মার্কিন কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়েছে, সে সম্পর্কিত কোনো ব্যাখ্যা এখনও দেয়নি মস্কো।
ইউক্রেন সীমান্তে সেনা সমাবেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যরাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনা যখন তুমুল পর্যায়ে উঠেছে, তখনই এই পদক্ষেপ নিল রুশ সরকার।
প্রায় দুই মাস ধরে ইউক্রেন সীমান্তে দেড় লাখ সৈন্য মোতায়েন রেখেছে রাশিয়া। সম্প্রতি কিছু সৈন্যদল ফিরিয়ে নিয়েছে বলে দাবি করেছে মস্কো, কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার প্রশাসনের কর্মকর্তারা মস্কোর এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন। উপরন্তু তারা অভিযোগ করেছেন, রাশিয়া বর্তমানে ইউক্রেনে হামলার জন্য ‘হন্যে হয়ে’ অজুহাত খুঁজছে।
গত কয়েক বছর ধরে চলা কূটনৈতিক শীতলতায় চলছে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক প্রায় তলানিতে ঠেকেছে। গত শতকের নব্বইয়ের দশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর এমন পরিস্থিতি এর আগে দেখা যায়নি।
গেলো ডিসেম্বরে মস্কো ঘোষণা দেয়, রাশিয়াতে তিন বছরের বেশি সময় ধরে থাকা মার্কিন কূটনীতিকদের ভিসা বাতিল করা। সরকারি এই আদেশ কার্যকর হওয়ায় বেশ কয়েকজন মার্কিন কূটনীতিককে রাশিয়া ত্যাগ করে দেশে ফিরে যেতে হয়েছে। তবে বার্ট গোরম্যান তিন বছরের কম সময় রাশিয়াতে ছিলেন, তার ভিসার মেয়াদও ছিল।
রয়টার্সকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা রাশিয়াকে এসব ভিত্তিহীন বহিষ্কারাদেশ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি এবং বলতে চাইছি— যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্কের ভিত্তিতেই কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়।’