মহাকাশে যৌথ মিশন শুরু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের দুই দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন। ইতোমধ্যে সম্মিলিত উদ্যোগে প্রথমবারের মতো মহাকাশে একটি কৃত্রিম উপগ্রহ (স্যাটেলাইট) পাঠিয়েছে এই দু’টি দেশ।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে আমিরাতের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা ডব্লিউএএম জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের সুকুবা স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে লাইট-১ নামের এই স্যাটেলাইটটি।
সুকুবা স্পেস সেন্টারের মালিক জাপানের জাতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাপান এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি। ২০১৬ সালে জাপানের সরকারের সঙ্গে করা এক চুক্তির আওতায় এই সেন্টারটি ব্যবহার করছে আমিরাত।
ডব্লিউএএমের প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন এই স্যাটেলাইটটির মূল কাজ হবে ঝড়ো আবহাওয়া ও মেঘে মেঘে ঘর্ষণের ফলে যে গামা রশ্মি নির্গত হয়- তার তথ্য সংগ্রহ-সংরক্ষণ করা ও সেসব তথ্য পাঠানো।
অতি শক্তিশারী গামা রশ্মির নির্গমন বৈশ্বিক বাস্তুসংস্থান ও মানুষের স্বাস্থ্য উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর। যে কোনো ধাতব বস্তু ভেদ করতে সক্ষম গামা রশ্মির সবচেয়ে বড় শিকার উড়োজাহাজের ক্রু ও যাত্রীরা।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, বাহরাইনের জাতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, খলিফা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এবং নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবুধাবি শাখার যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে লাইট-১ স্যাটেলাইটটি।
আমিরাতের প্রধান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় খলিফা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ সুলতান আল হামাদি ডব্লিউএএমকে এ সম্পর্কে বলেন, ‘মহাকাশে ইতোমধ্যে প্রদক্ষিণ করা শুরু করেছে লাইট-১। আরব বিশ্বের বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে কাজ করলে কত বড় লক্ষ্য অর্জন করা যেতে পারে- তার একটি ছোট প্রমাণ এই স্যাটেলাইট।’
সূত্র: আল আরাবিয়া নিউজ