আগামী ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ১৭তম নির্বাচন। এবার ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন অভিনেতা ফেরদৌস। তিনি এবার কার্যকরী পরিষদের সদস্য হিসেবে লড়বেন।
গণমাধ্যমকে চিত্রনায়ক ফেরদৌস বলেন, ‘যে সময় নিয়ে নির্বাচনে প্রস্তুতি নিতে হয় তা আমার হাতে ছিল না। অনেকগুলো সিনেমার শুটিংয়ের কারণে। খুব একটা সময় দিতে পারব না। শুধু শুধু বড় পদে গিয়ে লাভ নেই। আমি যে পদে কাজ করতে পারব সেই পদেই নির্বাচন করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি সবসময় শিল্পীদের পাশে থাকতে চেষ্টা করি। বর্তমান যে কমিটি আছে সেই কমিটিতে আমি ছিলাম না। কিন্তু সব সময় চেষ্টা করেছি শিল্পীদের পাশে থাকতে। শিল্পী সমিতি কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়। কোনো লাভজনক প্রতিষ্ঠান নয়। এটা কারও ব্যবসা করার জায়গাও নয়।
শিল্পীদের কল্যাণের জন্য এই সমিতি করা হয়েছে। কিন্তু দেখা গেছে বর্তমান কমিটির কেউ কেউ নিজের স্বার্থে সংগঠনকে ব্যবহার করছেন, যা খুব লজ্জার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা আর করতে দেয়া হবে না।
শিল্পী সমিতি আগে যে রকম ছিল শিল্পীরা একত্র হয়ে বসবেন, গল্প করবেন, নিজেদের সুখ-দুঃখ শেয়ার করবেন, নিজেদের সমস্যার সমাধানে পথ বের করবেন। বর্তমান কমিটি আসার পর থেকে সব উল্টো হয়ে গেছে।’
‘এমনও দেখা গেছে যে, অনেক শিল্পীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভয় দেখানো হয়েছে, যা আগে কখনও হয়নি। সমিতি ব্যবহার হয়েছে ব্যক্তিস্বার্থে। এবার আমাদের প্যানেলে জয়ী হলে প্রথম কাজ হবে শিল্পী সমিতির সঙ্গে অন্য যেসব সংগঠনের সমস্যা হয়েছে তাদের সঙ্গে বসে ঝামেলা মিটিয়ে নেয়া। সরকারি অনুদানের সিনেমাগুলো ঠিক সময়ে যেন মুক্তি দেওয়া যায় সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া। আমাদের অবস্থান থেকে যতটুকু সম্ভব করা হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে শিল্পীদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা সবসময় করেছি, আরও সুযোগ পাবো এবার ইনশাল্লাহ’- যোগ করেন ফেরদৌস।
নায়ক ফেরদৌসের সঙ্গে কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল থেকে কার্যকরী পরিষদের সদস্য হিসেবে আরও অংশ নেবেন অমিত হাসান, শাকিল খান, নানা শাহ, আফজাল শরীফ, সাংকো পাঞ্জা, জেসমিন, কেয়া, পরীমনি, গাঙ্গুয়া ও সীমান্ত।