বোতাম চাপলেই বদলে যাবে রঙ। রঙ-বিভ্রাট দূর করতে নতুন এক গাড়ি নিয়ে আসছে বিএমডব্লিউ। এ গাড়ি গিরগিটির মতো রঙ বদলাতে পারে। জার্মান এ গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা সম্প্রতি এমন কনসেপ্টের গাড়ির এক ঝলক লাস ভেগাসের সিইএস ২০২২ ইভেন্টে দেখিয়েছে। গাড়ির নাম বিএমডব্লিউ আইএক্স ফ্লো।
টেক সংবাদমাধ্যম দ্য ভার্জ-এর একটি প্রতিবেদনে বিএমডব্লিউর এ গাড়িটিকে বলা হচ্ছে, ‘কিন্ডলের সঙ্গে এর অনেকাংশেই মিল রয়েছে।’ আর এমন তকমা এঁটে দেওয়ার পেছনের কারণটিও যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত। কিন্ডল-সহ বেশকিছু ই-বুক রিডারে থাকছে ই-ইঙ্ক প্রযুক্তি। সেই প্রযুক্তিই ব্যবহৃত হয়েছে এ আধুনিকতম গাড়িটিতে।
যদিও আপাতত এ বিএমডব্লিউ আইএক্স ফ্লো গাড়িটি মার্কেটে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডেভেলপমেন্ট স্টেজে থাকা এ গাড়ির ডেমোটি কেবল মাত্র উন্নত গবেষণা এবং নকশা প্রকল্পের জন্যই ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এটিই বিশ্বের প্রথম কোনো গাড়ি যাতে রঙ বদলানোর প্রযুক্তি রয়েছে।
বোতাম টিপলেই রঙ বদলাবে গাড়িটি। অর্থাৎ গাড়িতে চালু হবে উদ্ভাবনী পেন্ট স্কিম। যদিও আপাতত সাদা, কালো এবং ধূসর– এ রঙই বদলানো যাবে। এই প্রযুক্তি যে বৈদ্যুতিক গাড়ির কর্মক্ষমতায় প্রভাব ফেলবে, সেই কথাটা একপ্রকার জোর দিয়েই বলছে বিএমডব্লিউ।
বিএমডব্লিউ রিসার্চ ইঞ্জিনিয়ার স্টেলা ক্লার্ক বলছেন, ‘কালো পৃষ্ঠের চেয়ে অনেক বেশি সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয় সাদা পৃষ্ঠে। ঠিক একইভাবে সাদা গাড়ির চেয়ে অপেক্ষাকৃত বেশি গরম হয় কালো গাড়ি। ফলে গরম কালে সাদা রঙের গাড়ির এসি বন্ধ রেখে বা কমিয়ে বিদ্যুৎ অনেকখানিই সাশ্রয় করা যাবে। আবার শীতকালে কালো গাড়ি এমনিই সেটিকে গরম করে রাখবে। বিএমডব্লিউ আইএক্স ফ্লো গাড়িতে এত সবকিছু একই সঙ্গে হবে, যা সচরাচর আলাদা আলাদা গাড়িতে হয়ে থাকে।’
পারসোনালাইজেশন ফিচার অর্থাৎ নিজের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন ফিচার অদলবদল করে নেওয়া, এমনটি সাধারণত গাড়ির ভেতরে বা কেবিনের ক্ষেত্রেই দেখা যায়। কিন্তু বিএমডব্লিউর এ কনসেপ্ট কারে বহিরাবরণের ক্ষেত্রে এমন পারসোনালাইজেশন করা যাবে, দ্য ভার্জ-এর প্রতিবেদনে এমনই উল্লেখ করা হয়েছে।
যদিও এ গাড়িটির উচ্চমানের প্রযুক্তির রঙ কতটা টেকসই হতে চলেছে এবং সেটি কতটাই বা চরম আবহাওয়া সহ্য করতে পারবে, সে বিষয়ে সংস্থার পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। ডেভেলপমেন্ট স্টেজে যখন রয়েছে, শিগগিরই গাড়িটি সম্পর্কে আরও তথ্য জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।