র্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে পুনর্বিবেচনা করার জন্য দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে দেওয়া চিঠির জবাবের অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সোমবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. মোমেন বলেন, ‘মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছি। দেখি কী জবাব আসে। আমরা তাদের জবাবের অপেক্ষায় আছি। আশা করি, তাদের জবাবে ইতিবাচক কিছু আসবে। আমরা আশাবাদী।’
সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই। আমরা আমাদের বৈদেশিক সম্পর্কের মূলনীতি ‘কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব’ মেনেই কাজ করছি। আমরা সেই নিরপেক্ষ নীতি ধরে রাখতে চাই। আমরা সবার সঙ্গে আরও বেশি সম্পৃক্ত হতে চাই।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো কোনো দেশ বাংলাদেশের ওপর অসন্তুষ্ট। এ অসন্তুষ্টির কারণ খুঁজে তা দূর করার চেষ্টা চলছে। তারা কোনো মিথ্যা তথ্যের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে থাকলে আমরা তাদের সত্য তথ্য দিয়ে বোঝাব। আশা করি তারা আমাদের বুঝবে। কারণ ওই সব দেশের নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা রয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতর সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনকে চিঠি পাঠিয়েছেন ড. মোমেন। চিঠিতে র্যাব কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক জবাব পাঠানো হয়।
জানা যায়, মোমেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকসহ আন্তঃরাষ্ট্রীয় অপরাধ দমনে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ ও কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরা হয়েছে। চিঠিতে র্যাবসহ বাংলাদেশের অন্য বাহিনীগুলোর অবদানের কথাও গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে পৃথকভাবে এ নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব বিভাগ) ও পররাষ্ট্র দফতর।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা কর্মকর্তাদের মধ্যে র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ রয়েছেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)।
এছাড়া র্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) তোফায়েল মোস্তাফা সরোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. আনোয়ার লতিফ খানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট।