অনুপ্রবেশকারী ভূইফোঁড়রা দলের মধ্যে রামরাজত্ব করছে। অন্যদিকে, ত্যাগী নেতাকর্মীরা দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। এদের দীর্ঘশ্বাস ধ্বংস ডেকে আনবে বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। মঙ্গলবার দুপুরে বরগুনার টাউন হল মাঠে জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, কিছু অসাধু ও তথাকথিত নেতৃবৃন্দ ব্যক্তি স্বার্থে দলের মধ্যে বিএনপি ও জামায়ত-শিবিরের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসিত করে দুঃসময়ের পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করেছেন। এটা জামায়াত শিবির এবং বিএনপির নীল নকশা। সংগঠনকে দুর্বল করে আমাদের মধ্যে ফাটল ধরানোর একটা অপচেষ্টা।
নেতৃত্ব নিয়ে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, নেতার গুণ হচ্ছে নেতৃত্ব। কোনো কাজে সফল হতে হলে সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং সুশৃঙ্খল নেতৃত্ব দরকার। যোগ্য ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে অসাধ্য সাধন করা যায়। অনেক ক্ষতি থেকেও নেতৃত্বে গুণে টিকে থাকা যায়। সঠিক নেতৃত্বের প্রভাবে একটি পরিবার, প্রতিষ্ঠান, দেশ, এমনকী বিশ্বও বদলে যেতে পারে। একজন যোগ্য নেতা ও তার নেতৃত্বের হাত ধরে একটি নতুন সমাজ বিনির্মাণ হতে পারে। তাই সৎ, যোগ্য ও সাহসী এবং সহানুভূতিশীল নেতৃত্বের জন্য নেতৃত্ব চর্চার বিকল্প নেই।
বরগুনা জেলা যুবলীগের সভাপতি ও বরগুনা পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাইনুল হোসেন খান নিখিল, বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা, ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. জাহাঙ্গীর কবীর, বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।