পিঠের ব্যথা বা ব্যাক পেইন সাধারণত অল্প সময়ে হয় না। এটি দীর্ঘ সময়ের অভ্যাসের ফলেই হয়ে থাকে। আর বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যথা হওয়ার ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।
তাই যেসব কারণে বা অভ্যাসে ব্যাক পেইন হতে পারে, সেগুলো যতটা সম্ভব এড়িয়ে যাওয়া উচিত। আসুন জেনে নিই যে সাত দৈনন্দিন অভ্যাসে হতে পারে ব্যাক পেইন—
১. একটি নির্দিষ্ট অবস্থানে বেশিক্ষণ বসে থাকলে
একইভাবে বা একটি নির্দিষ্ট স্থানে বেশিক্ষণ বসে থাকলে আপনার বসার অবস্থান আপনার মেরুদণ্ডে চাপ দিতে পারে। ফলে ব্যাক পেইন হতে পারে। তাই এ সমস্যা এড়াতে সবসময় সোজা হয়ে বসতে হবে এবং একইভাবে বেশি সময় বসে থাকা যাবে না।
২. উঁচু জুতা
আপনার ব্যাক পেইনের জন্য সবচেয়ে খারাপভাবে দায়ী কারণগুলোর অন্যতম একটি হচ্ছে— উঁচু জুতা পরা। এক ইঞ্চির বেশি উঁচু জুতা পরলে তা আপনার পায়ে ও মেরুদণ্ডে চাপ বৃদ্ধি করে, যা পরে ব্যাক পেইন সৃষ্টি করে।
৩. অস্বস্তিকর ও অনেক বেশি পুরনো গদি
অস্বস্তিকর ও অনেক বেশি পুরনো গদিতে নিয়মিত ঘুমালে তা একসময় গিয়ে ব্যাক পেইন সৃষ্টি করতে পারে। ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন অনুসারে, একটি ভালো গদি মাত্র ৯ থেকে ১০ বছর স্থায়ী হয়। এর চেয়ে বেশি পুরনো গদিতে ঘুমালে আপনার মেরুদণ্ডে চাপ বাড়তে পারে এবং তা পরে ব্যাক পেইন তীব্র করে তুলতে পারে।
৪. ব্যায়ামের অভাব
আপনার শরীর যদি সক্রিয় না হয়, তা হলে এটি ব্যাক পেইনের একটি সমস্যা হতে পারে। আপনার শরীরে নিয়মিত ভালোভাবে সচল থাকা প্রয়োজন, যা শুধু ব্যায়াম করার মাধ্যমে করা যেতে পারে। আর ব্যায়াম না করলে আপনার শরীর শক্ত হয়ে যায় তা পিঠে ব্যথা বা ব্যাক পেইন সৃষ্টিতে অবদান রাখতে পারে।
৫. ধূমপান
ধূমপান ক্যালসিয়ামের শোষণকে হ্রাস করে এবং নতুন হাড়ের বৃদ্ধি রোধ করে। এ ছাড়া ধূমপান থেকে ঘন ঘন কাশি হলেও তা পিঠে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
৬. খারাপ ঘুম
খারাপ ঘুম বা অনিয়মিত ঘুমের অভ্যাসের কারণে ব্যাক পেইন হতে পারে। আর আপনার যদি নিয়মিতভাবে ঘুমের অভাব হয়ে থাকে, তবে তা পিঠের ব্যথা আরও বাড়তে পারে।
৭. পুষ্টির অভাব
প্রতিদিনের খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান না খাওয়া হলে তা পিঠে ব্যথা হওয়ার ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে তুলতে পারে।