অতীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৫০০ থেকে ৬০০ লোকের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে সচিবালয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অধ্যাপক গামিনী লক্ষ্মণ পিয়ারিস মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রথম থেকে দ্বিতীয় ধাপে সহিংসতা ও মৃত্যু বেশি হয়েছে। সামনে আরও কয়েকটি ধাপ আছে। নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দলীয়ভাবে কী সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ের সহিংসতার কথা বললে অতীতে যেতে হবে। অতীতে ৫০০ থেকে ৬০০ লোকেরও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন, এটা বেশি দিনের না। দ্বিতীয় বারের মতো দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করছি। গত বছর যেসব সমস্যা ছিল, এ বছর সে সমস্যাগুলো অনেকটা সমাধানের পথে এগিয়ে গেছে।
দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে দায়বদ্ধতা থাকে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাবেক এ সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, কিন্তু স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত হলে তার দায়বদ্ধতা থাকে না।
সহিংসতা কমিয়ে আনার জন্য কী পদক্ষেপ নেবেন- এমন প্রশ্নেন জবাবে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সহিংসতার বিষয়টি সম্পূর্ণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেখে। একটা ওয়ার্ডে অসংখ্য সদস্য প্রার্থী থাকে। তাই নির্বাচনী প্রচারণাটাও অনেক বেশি হয়। ভোট কাস্টিং প্রায় ৯৫ শতাংশ হয়ে যায়। কারণ সর্বশেষ ভোটার কোথায় আছে, সেটাও খুঁজে বের করা হয়। কাজেই অনেকগুলো বিষয় এখানে কাজ করে।
তিনি বলেন, এতো বেশি প্রচারণার মধ্যে কিছু ঘটনা ঘটে যায়। কিছু-কিছু ঘটনাতো সীমার বাইরে চলে যাচ্ছে। এগুলো আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, আনসার থাকছে, তারা দেখছে। যেহেতু আমাদের নির্বাচন ধাপে-ধাপে হচ্ছে, কাজেই আমাদের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলার যে সদস্য আছেন, তাদের পরিধি আরও বাড়াতে পারলে আমার মনে হয় সহিংসতা কমে আসবে।
দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের ফলে তৃণমূল আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল বাড়ছে কি না-জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল নেই। আমাদের যে লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী রয়েছে, তারা সকলেই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে চলবে। তবে স্থানীয় পর্যায়ে কিছু সমস্যা রয়েছে। এগুলো সব জায়গায়ই আছে। এগুলো নিয়ে আমাদের দল কাজ করছে।
বিদ্রোহী প্রার্থীরা যেভাবে জয়লাভ করছে, তাদের দলীয়ভাবে বড় কোনো পদ দেওয়া হবে কি না- জানতে চাইলে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, জনগণ তাদের ভোটের মাধ্যমে জয়ী করেছে। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। আমরা সেটাতে বিশ্বাস করি। এখন দলীয় পদ দেওয়া হবে কি না, সেটা দলের সিদ্ধান্ত।