তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে পরিবেশবিষয়ক ‘কপ-২৬’ সম্মেলনে যাচ্ছেন না। তাকে যথাযথ নিরাপত্তা প্রটোকল না দেওয়ায় তিনি এ সফর বাতিল করেন। সেখানে সোমবার সম্মেলনের ফাঁকে ‘এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল। খবর মিডলইস্ট আইয়ের।
রোববার থেকে স্কটল্যান্ডে শুরু হয়েছে পরিবেশবিষয়ক ‘কপ-২৬’ সম্মেলন। এই সম্মেলনের ফাঁকে সোমবার জো বাইডেন এবং মঙ্গলবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে এরদোগানের বৈঠকের কথা ছিল।
আমেরিকার সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান এফ-৩৫ পাওয়ার জন্য তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রকে ১.৪ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তুরস্ককে এই বিমান দেয়নি। এই অর্থ তুরস্ককে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে পরিশোধ করবে, এরদোগান গ্লাসগোতে বাইডেনের সঙ্গে সেটি নিয়ে আলোচনার কথা ছিল।
সম্প্রতি এরদোগান জানান, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের ক্ষতিপূরণ বাবদ যুক্তরাষ্ট্র তাদের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিতে চায়।
২০১৯ সালে ওয়াশিংটন হঠাৎ ঘোষণা দেয়, তুরস্ককে তারা এফ-৩৫ স্টেলথ যুদ্ধবিমান দেবে না। কারণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার কাছ থেকে তুরস্কের এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা সিস্টেম ক্রয় করার অজুহাত দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা ন্যাটো দেশগুলোর জন্য হুমকিস্বরূপ। যদিও তুরস্ক বলছে, এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা ন্যাটোর সঙ্গে সমন্বয় করা হবে না। সুতরাং এটা কোনো হুমকি তৈরি করবে না।