বৈশাখী টেলিভিশনের তারকাবহুল ধারাবাহিক ‘জমিদার বাড়ী’ নাটকের ১৫০ পর্ব প্রচার হবে ২৭ অক্টোবর বুধবার রাত ৯টা ২০ মিনিটে। সপ্তাহের প্রতি মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার একই সময়ে প্রচার হচ্ছে নাটকটি।
এতে অভিনয় করেছেন মনোজ সেন গুপ্ত, শম্পা রেজা, আ খ ম হাসান, নাদিয়া মীম, শিল্পী সরকার অপু, সুব্রত, মোমেনা চৌধুরী, সঞ্চিতা দত্ত, মিলন ভট্ট, নাইরুজ সিফাত, ইমতু রাতিশ, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ। টিপু আলম মিলনের গল্পে নাটকটি সংলাপ, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন সাজ্জাদ হোসেন দোদুল।
১৫০ পর্ব প্রচার উপলক্ষে পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন দোদুল বলেন, দর্শকদের ভালোবাসাই নাটকটিকে এতদূর নিয়ে এসেছে। বিশেষ করে নাটকটি মানসম্পন্ন করার জন্য অভিনয় শিল্পীদের আন্তরিকতা এবং আমার চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না। সর্বোপরি নাটকের গল্পের কথা না বললেই নয়। বৈশাখী টিভির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলন ভাইয়ের গল্প অসাধারণ। কাহিনী দর্শকদের ভালো না লাগলে কিন্তু নাটকটি এতদূর টেনে আনা সম্ভব হতো না। এরকম অসাধারণ গল্প দেওয়ার জন্য তার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
নাটকের গল্প নিয়ে বলতে গিয়ে গল্পকার টিপু আলম মিলন বলেন, জমিদারি প্রথা শেষ হয়েছে সেই কবে। ভগ্নপ্রায় জমিদার বাড়িগুলো এখন পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত। জমিদারি প্রথা শেষ হলেও বংশ পরম্পরায় তাদের ঠাট-বাঁট, আচার-আচরণ, চলন-বলন এখনো রয়ে গেছে। নদী মরে গেলে যেমন তার বাঁক রয়ে যায়, তেমনি জমিদারি শেষ হলেও তাদের শরীরে রয়ে গেছে জমিদারি রক্ত।
জমিদারী রক্তের কারণেই অহংকারে মাটিতে পা পড়ে না, আশপাশের মানুষকে তাচ্ছিল্য করে, ঘৃণার চোখে দেখে। তাদের চলন-বলনে মনে হয় এখনো তারা জমিদার বহাল আছেন। সমাজের সবাই তাদের আগের মতোই সম্মান করবে, কুর্নিশ করবে। তারা মানতেই চায় না এটা এক নতুন সমাজ, তাদের জমিদারি আজ আর নেই। কিন্তু তা না থাকলে কী হবে, জমিদারি প্রথার মতোই শ্রেণি-বৈষম্য এখন সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। নব্য সমাজ প্রতিভা‚ জমিদারদের দাপটে সুন্দর সমাজ আজ ক্ষতবিক্ষত। সমাজের নানা অসঙ্গতিগুলোই ওঠে এসেছে নাটকের গল্পে।