বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে মারা গেছেন ৭ হাজার ৫৩৫ জন। একই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৪ লাখ ২৬ হাজার ৯১ জন। বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকাল সোয়া ৮টা পর্যন্ত করোনাভাইরাসের পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সকাল সোয়া ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন মৃতের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ২০০ জন এবং নতুন শনাক্ত হয়েছিলেন ৩ লাখ ২৮ হাজার ৪৪ জন।
করোনায় বিশ্বজুড়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯ লাখ ৭৮ হাজার ২৫১ জন। অন্যদিকে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ২৪ কোটি ৫২ লাখ ৫৮ হাজার ৫৬৮ জন।
বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯ হাজার ৬৩৪ জন এবং মারা গেছেন ১ হাজার ৪৫১ জন। এ নিয়ে সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ কোটি ৬৪ লাখ ৯৭ হাজার ৭১৯ জন এবং মারা গেছেন ৭ লাখ ৫৯ হাজার ৯৩২ জন।
অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পরই রয়েছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ১ হাজার ১০৬ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩৬ হাজার ৪৪৬ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮৩ লাখ ১৬ হাজার ১৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৩২ হাজার ৭৭৫ জনের।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪০৯ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৩ হাজার ৪২৪ জন।
এদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৮৪ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৫০৮ জন।
এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ইরানে ১৫৬ জন, তুরস্কে ২১৫ জন এবং ইউক্রেনে ৭৩৪ জন মারা গেছেন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মেক্সিকোতে মারা গেছেন ১৫০ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৮৬ হাজার ৪৯৬ জনের।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।