আগামী ২৪ নভেম্বর ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হবে। একই সঙ্গে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এসব পরীক্ষা শেষ করতে হবে। বুধবার (১৩ অক্টোবর) মাউশির মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা এবং ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
যেসব নির্দেশনা মেনে অনুষ্ঠিত হবে পরীক্ষা
১. বাংলা, ইংরেজী ও সাধারণ গণিত বিষয়ে পরীক্ষা নিতে হবে;
২. পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের মান হবে ৫০ নম্বরের;
৩. প্রতিটি বিষয়ের পরীক্ষার সময় হবে ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট;
যে সিলেবাসে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে
যে সকল অধ্যায় থেকে অ্যাসাইনমেন্ট (বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ গণিত বিষয়) দেওয়া হয়েছে সে সকল অধ্যায় এবং ১২/০১/২০২১ হতে শ্রেণিকক্ষে যে সকল অধ্যায়ের ওপর পাঠদান করা হয়েছে তা ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সিলেবাস।
বার্ষিক/নির্বাচনী পরীক্ষার নম্বর বিন্যাস হবে যেভাবে
(ক) বাংলা (১ম ও ২য় পত্র) বিষয়ের নম্বর হবে-৫০ (লিখিত ৩৫ + এমসিকিউ ১৫);
(খ) ইংরেজি (১ম ও ২য় পত্র) বিষয়ের নম্বর হবে-৫০ (১ম পত্র ৩০ + ২য় পত্র ২০); (গ) সাধারণ গণিত বিষয়ের নম্বর হবে-৫০ (লিখিত ৩৫ + এমসিকিউ১৫);
(ঘ) প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বার্ষিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে চলমান সকল বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের ওপর ৪০ নম্বর যোগ করতে হবে।
(ঙ) বার্ষিক পরীক্ষায় ৭ম শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর আরও ১০ নম্বর যোগ করতে হবে। উল্লেখ্য, ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সঙ্গে বৃক্ষরোপণ প্রকল্পে তাদের কর্মতৎপরতা যুক্ত করে এই ১০ নম্বর যোগ করতে হবে।
(চ) অর্থাৎ মোট ১০০ নম্বরের (৫০+৪০+১০) ওপর প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে মূল্যায়নপূর্বক বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল তৈরি করে শিক্ষার্থীদের প্রগ্রেসিভ রিপোর্ট প্রদান করতে হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০২১ শিক্ষাবর্ষে এ পরীক্ষা ছাড়া অন্য কোনো পরীক্ষা নেওয়া যাবে না এবং অবশ্যই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বার্ষিক ও নির্বাচনী পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হবে।