প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সাধারণ নাগরিকদের জন্য টিকা গ্রহণে নিবন্ধনের বয়সসীমা কমিয়ে ২৫ বছর থেকে ১৮ বছর করা হচ্ছে। এ মাসের (অক্টোবর) শেষ সপ্তাহ থেকেই এ নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
সোমবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর ও টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, টিকার বয়সসীমা কমিয়ে ২৫ বছর থেকে ১৮ বছর করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিগগিরই আমরা এ কার্যক্রম শুরু করতে পারব। আইসিটি বিভাগকে এ বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রক্রিয়া শেষ হলেই আমাদের জানাবে এবং আমরা ঘোষণা দিয়ে আঠারো বছরের বেশি বয়সীদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করব।
স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকা প্রসঙ্গে শামসুল হক বলেন, ১২ বছর থেকে ১৭ বছরের সব স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে। তাদের আপাতত ফাইজারের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক্ষেত্রে স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্ম নিবন্ধনের সনদের মাধ্যমে টিকা নিবন্ধনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, পর্যায়ক্রমে দেশে মোট ১৩ কোটি ৮০ লাখ জনগণকে টিকার আওতায় আনা হবে। বর্তমানে সারাদেশে ২৮০০ কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে, এ সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই থেকে করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার জন্য সর্বনিম্ন বয়সসীমা ২৫ বছর নির্ধারণ করে সরকার। এর আগে, ৩০ বছর বয়সসীমার নাগরিকেরা টিকার আওতায় ছিলেন। এছাড়া, সম্মুখসারির কোভিড যোদ্ধাদের পরিবারের ১৮ বছর বয়সী সদস্যরাও টিকা পাবেন বলে জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
গত ১৯ জুলাই, করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার বয়স ৩০ বছর নির্ধারণ করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এর আগে গত ৫ জুলাই কোভিড টিকার বয়স ৩৫ বছর নির্ধারণ করা হয়।