আফগানিস্তানের একটি মসজিদে ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা হামলায় শতাধিক মানুষ হতাহত হয়েছেন। শুক্রবার দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ কুন্দুজে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যখন হামলা ঘটে, আফগানিস্তানের শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের ওই মসজিদে তখন জুমার নামাজ চলছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা এএফপি, এপি, ও সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভয়াবহ এ বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে।
তবে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারের এক নেতার বরাতে বার্তাসংস্থা রয়টার্স থেকে বলা হয়েছে, হামলায় নিহত হয়েছেন ২৮ জন এবং আহত হয়েছেন আরও কয়েক ডজন মানুষ।
শুক্রবার এক টুইট বার্তায় তালেবানগোষ্ঠীর অন্যতম মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘আজ সন্ধ্যায় আমাদের শিয়া সম্প্রদায়ের একটি মসজিদে বোমা হামলা হয়েছে…. হামলায় আমাদের অনেক স্বদেশি ভাই নিহত এবং আহত হয়েছেন।’
হামলায় ঠিক কতজন নিহত হয়েছেন এবং কয়জন আহত- তা টুইটে জানাননি মুজাহিদ। তবে বলেছেন হামলার যথাযথ তদন্ত ও বিচার করবে তালেবান সরকার।
এখন পর্যন্ত এ হামলার দায় কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বীকার করেনি। তবে সবার সন্দেহের তীর আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের আফগানিস্তান শাখা আইএস খোরাসানের (আইএসকে) দিকে। কারণ, তালেবান বাহিনী আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর থেকে দেশটিতে যতগুলো বোমা হামলা হয়েছে, প্রত্যেকটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ছিল আইএসকের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্ধৃত করে বার্তাসংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, বিস্ফোরণের সময় মসজিদে বহু মানুষ নমাজ পড়ছিলেন। তাদের একটি বড় অংশ বিস্ফোরণের অভিঘাতে নিহত হয়েছেন। তবে ঠিক পর্যন্ত কত জনের প্রাণ গিয়েছে, তা এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি।
আফগানিস্তানে আইএসকে তার অস্তিত্ব প্রথম জানান দিয়েছিল গত ২৬ আগস্ট, কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরে আত্মঘাতী হামলার মধ্য দিয়ে। ওই হামলায় নিহত হয়েছিলেন ১৭০ জন। তাদের মধ্যে ১৩ জন মার্কিন মেরিন সেনা ছিলেন, বাকিরা সবাই ছিলেন সাধারণ বেসামরিক আফগান।