স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে আজ পাকিস্তানের মানুষ আফসোস করে। প্রতিবেশী দেশগুলো হতবাক হয় এ উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা দেখে। এসব কিছু এমনিতেই হচ্ছে না। একজন শেখ হাসিনা আছেন বলেই সম্ভব হচ্ছে। দেশের প্রতিটি উন্নয়নে শেখ হাসিনার নাম মিশে থাকবে।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বনানীতে শেরাটন ঢাকা হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে ‘অনন্য শেখ হাসিনা’ শীর্ষক সংবাদচিত্র প্রদর্শনীতে তিনি এ মন্তব্য করেন। কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরি হিসেবে নয়, তার নিজ যোগ্যতা, মেধা-বুদ্ধি, দূরদর্শিতা, দেশপ্রেম এবং মানুষের প্রতি মমত্ববোধ থেকে শতবাধা উপেক্ষা করে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু যে উদ্দেশ্যে এবং স্বপ্ন নিয়ে এ দেশ স্বাধীন করেছেন, সেই স্বপ্ন পূরণে কাজ করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এমডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সফলতা অর্জন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন এসডিজি বাস্তবায়নেও সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা এসবের স্বীকৃতিস্বরুপ তাকে বিভিন্ন পদক ও সম্মানে ভূষিত করছে।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দীর্ঘ ২১ বছর দেশীয় শাসকরা যেমন দেশ ও মানুষের জন্য কিছু করেনি তেমনি তাদের দোসর পাকিস্তানিরাও ২৫ বছর বাঙালির রক্তচোষা ছাড়া মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে কোনো অবদান রাখেনি। বিএনপিও কখনো এ জাতির ভাগ্যের উন্নয়ন চায় না। তারা সব সময় এদেশের মানুষকে ভিখারি জাতি হিসেবে দেখতে চায়।
বিএনপির মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অপব্যবহারের কারণে দেশে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হয়েছিল দাবি করে তিনি বলেন, তারা একই সংকট এখন আবারও সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
মন্ত্রী বলেন, তাদের কিছু নেতাকর্মীর মুখে আবারও তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে ফিরিয়ে আনার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এই দাবিতে গোলযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতেই তাদের এই ষড়যন্ত্র। এই সরকারের মাধ্যমে তারা রাষ্ট্র ও মানুষের জন্য কী ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল, তা সকলের জানা আছে।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কমিউনিটি ক্লিনিকসহ অনেক উদ্যোগ ও অর্জনকে বিএনপি ক্ষমতায় এসে ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে। বাসে আগুন দেওয়া, সন্ত্রাসবাদ-জ্বালাও পোড়াও করে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দেশকে ভিক্ষুকের জাতিতে রূপান্তরিত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। তারা দেশের মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চায়। এ বিষয়ে দেশবাসীকে সচেতন হয়ে সম্মিলিতভাবে উন্নয়নের পক্ষে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিস সারাফাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।