গত ১০ বছরে থাইল্যান্ড ভ্রমণকারী ১০ কোটি ৬০ লাখের বেশি মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে ফাঁস হয়ে গেছে। ব্রিটিশ একটি সাইবার নিরাপত্তা গবেষণা কোম্পানি গত আগস্টে এই তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে বলে আবিষ্কার করেছে। তবে কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে ভ্রমণকারীদের তথ্য ফাঁস ঠেকাতে ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হয় বলে সোমবার ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় গন্তব্য হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশ। করোনাভাইরাস মহামারিতে সীমান্ত বন্ধ এবং বৈশ্বিক ভ্রমণ অচল হয়ে যাওয়ার আগে ২০১৯ সালে থাইল্যান্ডে ৪ কোটি পর্যটক ঘুরতে গিয়েছিলেন।
এক প্রতিবেদনে ব্রিটেন-ভিত্তিক ভোক্তা নিরাপত্তা কোম্পানি কমপ্যারিটেক বলেছে, গত আগস্টে তাদের কোম্পানির সাইবার নিরাপত্তা গবেষণা প্রধান বব ডিয়াচেনকো একটি ডেটাবেজের সন্ধান পান; যেখানে থাইল্যান্ড ভ্রমণকারী কোটি কোটি মানুষের ব্যক্তিগত তথ্যের বিশদ বিবরণ রয়েছে।
তিনি বলেন, গত দশকে যারা থাইল্যান্ড ভ্রমণ করেছেন, তাদের নাগরিকত্ব, পাসপোর্ট নম্বর এবং বসবাসের তথ্যসহ বিস্তারিত এই ঘটনায় ফাঁস হয়ে থাকতে পারে।
কমপ্যারিটেক বলেছে, ওই ডেটাবেজে ডিয়াচেনকো তার নিজের নাম এবং থাইল্যান্ডে প্রবেশের বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত খুঁজে পান; যেখানে সর্বশেষ ২০১১ সালে থাই ভ্রমণকারীদেরও ব্যক্তিগত তথ্য রয়েছে।
থাই কর্তৃপক্ষ গত ২২ আগস্ট ভ্রমণকারীদের তথ্য ফাঁসের বিষয়টি জানতে পায় এবং একই দিন ডেটা সুরক্ষিত করতে ব্যবস্থা নেয়। কমপ্যারিটেকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইনডেক্সড হওয়ার আগে কতক্ষণ পর্যন্ত ভ্রমণকারীদের তথ্য উন্মুক্ত ছিল সেটি আমরা জানি না।
তবে থাই কর্তৃপক্ষ যেসব ডেটা সংরক্ষণ করেছিল তাতে অননুমোদিত কোনও পক্ষের অনুপ্রবেশের সুযোগ নেই বলে জানিয়ে থাইল্যান্ডের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো বলেছে, এ ঘটনার ব্যাপারে তারা অবগত ছিলেন। তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
থাইরা ব্যাপকভাবে ইন্টারনেট-সচেতন, তথ্য ফাঁসের ঘটনার সঙ্গে দেশটির সরকারের পরিচিতিও তেমন নেই। তবে গত জুনে দেশটির সরকারি এক ওয়েবসাইটে বিদেশিদের করোনাভাইরাসের টিকার আবেদনের জন্য নিবন্ধনের ওয়েবসাইট চালু করা হয়। এতে বিদেশিদের পাসপোর্ট নম্বর এবং নাম দিয়ে নিবন্ধন করতে হতো। পরবর্তীতে সেই তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে ওয়েবসাইটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।