আজ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে জাতীয় পর্যায়ের পাশাপাশি জেলা পর্যায়েও দিবসটি উদযাপন করা হবে। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘লিটারিসি ফর হিউমেন-সেন্টারড রিকোভারি: ন্যারোয়িং দ্যা ডিজিটাল ডিভাইড’।
প্রাথমিক এবং গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় পর্যায়ে কাল ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দিবসটির কর্মসূচি উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে অনুষ্ঠানটি ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন।
দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরে এদিন ক্রোড়পত্র প্রকাশ ও সংবাদ সন্মেলন করা হবে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে আলোচনা এবং মোবাইল ফোনে ক্ষুদে বার্তা প্রেরণ করা হবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে দেশের বিশাল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে যথাযথ শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনসম্পদে পরিণত করে বাংলাদেশকে উন্নয়নের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এক যোগে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বয়স্ক সাক্ষরতার হার ৭৫.৬ শতাংশ অর্থাৎ ২৪.৪ শতাংশ জনগোষ্ঠী এখনও নিরক্ষর। সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি সাক্ষরতা ও দক্ষতা উন্নয়নে বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাব্যুরোর মাধ্যমে মুজিব জন্মশতবার্ষিকীতে ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ২১ লাখ নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরতা প্রদানের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। একইসাথে, ৮ থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত বয়সী বিদ্যালয় হতে ঝরে পড়া শিক্ষার্থী এবং যারা কখনও স্কুলে পড়াশুনা করেনি এরকম ১০ লাখ শিশুর শিক্ষা প্রদান কার্যক্রম চলমান আছে।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের নিরক্ষর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সাক্ষরতা ও জীবনমুখী দক্ষতা বৃদ্ধিতে বহুমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, এর ফলে সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৭৫.৬ শতাংশ হয়েছে; যা ২০১০ সালে ৫৬.৮ শতাংশ ছিল। মুজিববর্ষে ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ২১ লক্ষ নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরতা প্রদানের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নাধীন আছে। বিদ্যালয় হতে ঝরে পড়া শিক্ষার্থী ও যারা কখনও স্কুলে পড়াশুনা করেনি এমন ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী ১০ লক্ষ শিশুর শিক্ষা প্রদান কার্যক্রম চলমান আছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কেন্দ্রসমূহ বন্ধ থাকায় ‘সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন’ ও ‘বাংলাদেশ বেতার’-এর মাধ্যমে পাঠদান স¤প্রচার করে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় সম্পৃক্ত রাখা হচ্ছে।