নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। রোববার মিরপুর স্টেডিয়ামে তৃতীয় এবং সিরিজ জয়ের মিশনে মাঠে নামবে মাহামুদউল্লাহর দল। প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যে পারফরম্যান্স করেছে বাংলাদেশ তাতে একটি বিষয় স্পষ্ট, নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারলেই সিরিজ জেতা অসম্ভব কিছু নয়।
টেস্ট ম্যাচে কিউদের বিপক্ষে ড্র করার রেকর্ড আছে টাইগারদের। এছাড়া ওয়ানডে ম্যাচে তাদেরকে একাধিকবার হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের অপেক্ষা। কাজটা কঠিন হবে, তবে অসম্ভব নয়। তৃতীয় ম্যাচে সিরিজ নিশ্চিত হয়ে গেলে বাংলাদেশের সাফল্যভান্ডারে নিশ্চিত বড় অর্জন যুক্ত হবে।
চলমান সিরিজের আগে কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে ১০টি। যার মধ্যে টাইগাররা ১০টি ম্যাচেই হেরেছে। তবে টি-টোয়েন্টি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম জয় আসে সিরিজের প্রথম ম্যাচে। কিউইদের মাত্র ৬০ রানে আটকে ফেলে টাইগার বোলাররা। সেই ৬১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ ৭ উইকেটের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দারুণ লড়াই করেছিল ব্ল্যাকক্যাপস। তবে জয়ের দেখা পায়নি তারা। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহরা ভালো পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতায় জিতে যান দ্বিতীয় ম্যাচও। তৃতীয় ম্যাচ ঘিরে সমর্থকদের একটাই চাওয়া, উইকেটটা যেন আরো ভালো হয়।
চলামান সিরিজে ধীরগতির এবং অসমান বাউন্সের উইকেট বানিয়ে প্রতিপক্ষকে অল্পরানে আটকে সেই রান তাড়া করে জিতেছে বাংলাদেশ, কিন্তু এই সিরিজে টি-টোয়েন্টি আমেজ পাওয়া যাচ্ছিল না মোটেও। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের পর প্রচণ্ড সমালোচনাও হয়েছিল উইকেট নিয়ে। ব্যবহৃত উইকেটে টানা খেলা হওয়ায় উইকেট পরিচর্যার সময় পাওয়া যাচ্ছে না। তাই উইকেটের তারতম্য বোঝা যাচ্ছে না। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে উইকেট কিছুটা হাসিয়েছে।
রানের ফোয়ারা না হলেও ব্যাটসম্যানরা টাইমিং মেলাতে পেরেছেন। ব্যাট-বলের লড়াইয়ে ভারসাম্যও ছিল। সামনের ম্যাচগুলিতে অন্তত রান ফোয়ারা ও বাউন্ডারির ফুলঝুরি দেখার অপেক্ষায় সমর্থকরা। সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এর আগে নিজেদের যতটা পারে ঝালিয়ে নিচ্ছে বাংলাদেশ। বড় স্কোর না হোক জয়ের অভ্যাস তৈরি হচ্ছে। বিশ্বমঞ্চে মাঠে নামার আগে ৩টি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এখান থেকে সর্বোচ্চটা নিতে চায় বাংলাদেশ।