মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় তৃতীয় দফায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদেশের পর সিএমএম আদালতের আট তলা ভবন থেকে পরীমনিকে বের করা হয়। এর আগে থেকে নিচে গারদ থানার সামনে শতশত সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পরীমনির জন্য অপেক্ষায় থাকেন। এর ফলে ভিড়ে হাঁটার মতো পরিস্থিতিও ছিল না। এর মধ্যেই পরীমনিকে পুলিশ কঠোর নিরাপত্তা দিয়ে গারদ থানায় নেয়ার জন্য রওনা দেয়। পুলিশ বেষ্টিত হয়ে হাঁটার সময় পরীমনি হুড়োহুড়িতে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যান। এতে হাতে-পায়ে ব্যথা পান তিনি। পরে নারী পুলিশেরা তাকে তুলে আবার গারদ থানায় প্রবেশ করান।’
এর আগে আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকার সিএমএম আদালতে পরীমনিকে হাজির করা হয়। গতকাল পরীমনিকে আবারও পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
এর আগে গত শুক্রবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে পরীমনিকে সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা।
গত ৪ আগস্ট পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অভিযানে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করে র্যাব। তার ড্রয়িংরুমের কাবার্ড, শোকেস, ডাইনিংরুম এবং বেডরুমের সাইড টেবিল ও টয়লেট থেকে বিপুল মদের বোতল উদ্ধার করা হয় বলেও দাবি করা হয়। এরপর রাত ৮টা ১০ মিনিটে পরী মণিকে তার বাসা থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে গাড়িটি কুর্মিটোলায় র্যাব সদর দপ্তরে পৌঁছায়। সেখানে রাত ১২টা পর্যন্ত পরী মণিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরদিন ৫ আগস্ট বিকেল ৫টা ১২ মিনিটে র্যাব সদর দপ্তর থেকে পরী মণি, প্রযোজক ও অভিনেতা মো. নজরুল ইসলাম রাজ ও তাদের দুই সহযোগীকে নিয়ে কালো একটি মাইক্রোবাসে করে বনানী থানায় রওনা দেয় র্যাবের একটি দল। এরপর র্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমনি ও তার সহযোগী দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে৷