প্রায় ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের ক্রিপ্টোকারেন্সি হাতিয়ে নেওয়া সেই হ্যাকারের জন্য পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছে হ্যাকিংয়ের শিকার হওয়া ব্লকচেইন সাইট পলি নেটওয়ার্ক। মূলত সাইটের দুর্বলতা ধরিয়ে দেওয়ার জন্যই তার জন্য এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, কোনো ফৌজদারি অপরাধ সংঘটিত হলে অপরাধীকে দায়মুক্তি দেওয়ার অধিকার কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নেই। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়।
গত মঙ্গলবার পলি নেটওয়ার্কের সাইটের একটি দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ক্রিপ্টোকারেন্সির ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ ওই হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটে।
হ্যাকিংয়ের পর থেকেই হ্যাকারের কাছে ক্রিপ্টোকারেন্সি ও অন্যান্য তথ্য ফিরে চেয়ে আবেদন করেছিল পলি নেটওয়ার্ক। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে হ্যাক করে নেওয়া অর্থের বেশিরভাগই ফিরিয়ে দেন হ্যাকার। তবে এখন পর্যন্ত সেই হ্যাকারের পরিচয় জানা যায়নি। এমনকি তিনি এককভাবে নাকি দলগতভাবে কাজ করছেন সেটাও জানা যায়নি।
এদিকে পলি নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, হ্যাক হওয়া ক্রিপ্টোকারেন্সির মধ্যে আর মাত্র ৩৩ দশমিক চার মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের ক্রিপ্টোকারেন্সি হ্যাকারের দখলে আছে। বাকিগুলো একটি ডিজিটাল ওয়ালেটে ফিরিয়ে দিয়েছেন ওই হ্যাকার। তবে পলি নেটওয়ার্কের পাশাপাশি সেই ডিজিটাল ওয়ালেটের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে হ্যাকারের কাছেও।
এছাড়া হ্যাকারের দখলে থাকা টিথার হিসেবে বাকি ক্রিপ্টোকারেন্সি ‘ফ্রোজেন’ অবস্থায় আছে বলে বিবিসিকে জানান লন্ডন ভিত্তিক ক্রিপ্টোকারেন্সি বিশ্লেষণী প্রতিষ্ঠান এলিপটিকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা টম রবিনসন। হ্যাকিংয়ের ঘটনা নজরে আসার পরপরই সেগুলো ফ্রিজ করে দেওয়া হয়। ফলে হ্যাকারও সেগুলো আর ব্যবহার করতে পারবে না।
ইতোমধ্যে সেই হ্যাকারকে ‘দ্য হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার’ আখ্যা দিয়ে বার্তা দিয়েছে পলি নেটওয়ার্ক। সেই বার্তায় হ্যাকারের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে না বলে পলি নেটওয়ার্ক জানায়।
পলি নেটওয়ার্কের এমন বার্তায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোনো প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের এমন ঘোষণা দেওয়ার অধিকার নেই। এছাড়া এতে অপরাধীরা আরও উৎসাহিত হবে।