বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর, ঢাকার সার্ভারে ত্রুটির কারণে পাসপোর্ট সেবা সীমিত করেছে । বাংলাদেশে এই সেবা সীমিত হলেও পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে প্রবাসীদের পাসপোর্ট সেবা। ফলে পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন লাখ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি।
বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও কবে নাগাদ এই ভোগান্তি কমবে সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সম্প্রতি মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া, লেবাননসহ বেশ কয়েকটি দেশের দূতাবাস থেকে স্ব স্ব দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের নোটিশ দিয়ে পাসপোর্ট দিতে অপারগতার কথা বলা হয়েছে।
এক নোটিশে মালদ্বীপের মালের বাংলাদেশ হাইকমিশন জানায়, পাসপোর্টের সার্ভারে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাময়িকভাবে পাসপোর্ট গ্রহণ বন্ধ থাকবে। পুনরায় সার্ভার ঠিক হলে তাৎক্ষণিকভাবে সবাইকে অবহিত করা হবে।
কুয়ালালামপুরের হাইকমিশন জানায়, ঢাকায় পাসপোর্টের সার্ভারের ধারণক্ষমতা শেষ হয়ে যাওয়ায় এই মুহূর্তে প্রচুর সংখ্যক পাসপোর্টের আবেদন হাইকমিশনের কাছে জমা আছে। হাইকমিশনের আওতা বহির্ভূত এই সাময়িক জটিলতার জন্য হাইকমিশন আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে। এই কারিগরি সমস্যা সমাধানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর কাজ করে যাচ্ছে। সমস্যা শিগগিরই সমাধান হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর জানায়, বাংলাদেশে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) তৈরির কাজটি দেওয়া হয়েছিল আইরিস করপোরেশন নামের একটি মালয়েশীয় প্রতিষ্ঠানকে। সেখানে তিন কোটি পাসপোর্টের চুক্তি ছিল। তবে সম্প্রতি সেই তিন কোটি পাসপোর্টের কোটা পূরণ হওয়ায় সার্ভারে আর পাসপোর্ট ছাপা যাচ্ছিল না। বিষয়টি বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ও হাইকমিশনে অবগত করা হয়েছে।
অধিদফতর আরও জানায়, শুধুমাত্র এমআরপির ক্ষেত্রেই এমনটা হচ্ছে যা প্রবাসীদের ভোগাচ্ছে। বাংলাদেশের অফিসগুলোতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে এমআরপি সেবা বন্ধ থাকার কারণেই-পাসপোর্টের ওপর চাপ কিছুটা বেড়েছে।
বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন, ‘এমআরপি সার্ভারের এফিসিয়েন্সি শেষ। আমাদের পরিকল্পনা ছিল প্রবাসীদের জন্য এমআরপি বন্ধ করে একযোগে ই-পাসপোর্ট চালু করা। তবে করোনার কারণে আমরা এগোতে পারিনি। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা এমআরপির সার্ভারের ধারণক্ষমতা ৫০ লাখ ইউনিট বাড়ানোর জন্য কাজ করছি।’