জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস জিতে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশকে ২৪০ রানের মামুলি লক্ষ্য দেয় স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। এই রান তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারের আগেই ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্ধরে পৌঁছে যায় তামিম ইকবালের দল। এদিন দলের জন্য একাই লড়াই করেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ৯৬ রানে অপারাজিত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। এছাড়া সাইফুউদ্দিন খেলেন ২৮ রানের অপারাজিত ইনিংস।
জিম্বাবুয়ের দেয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা খুবই খারপ হয় বাংলাদেশের। ৩৯ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর ১১ রান যোগ করতে আরও ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শুরুটা হয়েছিল তামিম ইকবালকে দিয়ে। এরপর লিটন ও মিঠুন তার দেখানো পথে হাঁটেন। ১৪ ওভারে তখন বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ৫০।
লুক জংওয়ের অফস্টাম্পের বাইরের বল চালাতে গিয়ে পয়েন্টে মাধবেরের দারুণ ক্যাচে পরিণত হন মিঠুন। প্রথম ম্যাচে ১৯ রান করা মিঠুন দ্বিতীয় ম্যাচেও হতাশ করলেন। আর সুযোগ পাবেন কী তিনি? এই প্রশ্নটা থেকেই যায়। ৫০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর যখন বাংলাদেশ ধুঁকছে তখন ক্রিজে সাকিবের সাথে দারুণ জুটি করেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। কিন্তু তাদের জুটি বড় হওয়ার আগেই ভেঙে গেলো ২৫ রানে। নিজের ভুলে মোসাদ্দেক রান আউট হয়ে ফিরেন সাজঘরে।
রিচার্ড এনগাবারার বল যায় উইকেটরক্ষক চাকাবার হাতে। বল ঠিকমতো গ্লাভসবন্দী করতে পারেননি চাকাবা। ওই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে মোসাদ্দেক ১ রান নেওয়ার জন্য ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু চাকাবা দ্রুত রিকোভার করে সরাসরি থ্রোতে উইকেট ভাঙেন। আউট হওয়ার আগে করে ৯ বলে ৫ রান। ৭৫ রানে বাংলাদেশ হারাল চতুর্থ উইকেট। এরপর সাকিবের সঙ্গী হিসেবে ক্রিজে আসেন মাহমুদুল্লাহ। এই দুই ব্যাটসম্যান মিলে বাংলাদেশের রানের চাকা সচল করে। তবে ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ ছিলেন মাহমুদুল্লাহ। ৩৫ বলে ২৬ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন রিয়াদ।
টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা যখন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন তখন একাই লড়ে গেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বিপর্যয়ের মাঝে সাকিব তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৯তম ফিফটি। তার ফিফিটির পর সাজঘরে ফিরেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ডানহাতি অফস্পিনার মাধভেরের বল সুইপ করে সীমানার বাইরে পাঠাতে চেয়েছিলেন মিরাজ। কিন্তু মাঠের সবচেয়ে বড় দিক টার্গেট করে বিপদ ডেকে আনলেন তিনি। তার এলোমেলো শট সোজা যায় ডিয়োন মায়ার্সের হাতে। দলকে বিপদে ফেলে মিরাজ আউট হলেন ৬ রানে। এরপর খুব দ্রুত ফিরে যায় আফিফ। শেষ দিকে সাকিব ও সাইফুউদ্দিনের ব্যাটে ৩ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জিম্বাবুয়ে: ২৪০/৯ (৫০ ওভার)
মাধেভেরে ৫৬, টেলর ৪৬, মায়ার্স ৩৪, রাজা ৩০
শরিফুল ৪৬/৪, সাকিব ৪২/২, তাসকিন ৩৮/১, মিরাজ ৩৪/১, সাইফউদ্দিন ৫৪/১
বাংলাদেশ: ২৪২/৭ (৪৯.১ ওভার)
সাকিব ৯৬*, সাইফউদ্দিন ২৮*, রিয়াদ ২৬, লিটন ২১, তামিম ২০,
জংওয়ে ৪৬/২, এনগারাভা ৩৩/১
ফল : বাংলাদেশ ৩ উইকেটে জয়ী।
জাতীয় ক্রিকেট দলকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়, কোচ ও ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।