<< জামায়াত আমিরের সঙ্গে চীনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি ডেপুটি অ্যাম্বেসডরসহ চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে দেন। সাক্ষাৎকালে চায়না অ্যাম্বেসডর ও আমিরে জামায়াত দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ঢাকার মগবাজারে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সৌজন্য সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ও ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ সাবেক এমপি, মাওলানা আবদুল হালিম, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ও অ্যাডভোকেট মোয়াযযম হোসাইন হেলাল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন।

সৌজন্য সাক্ষাতের পর আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান ও চায়না অ্যাম্বেসডর ইয়াও ওয়েন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দেন। আমিরে জামায়াত সবাইকে শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের বৈঠকটি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা একসাথে দীর্ঘ এক ঘণ্টা যাবৎ দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা বলেছি। উভয় দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ডেভেলপমেন্ট-সহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটিয়ে আমরা যেন একসাথে এগিয়ে যেতে পারি সেই বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিবর্তনের বিষয়গুলো আলোচনায় স্থান পেয়েছে। আমরা আশা করছি আগামী দিনগুলোতে দুই দেশের জনগণ, দুই দেশের সরকার, পার্টি টু পার্টি আমরা আরও ক্লোজলি কাজ করার সুযোগ পাব। আপনাদের মাধ্যমে সম্মানিত অতিথিবৃন্দকে এখানে আসার জন্য আরেকবার অভিনন্দন জানাচ্ছি এবং আশা করছি আগামী দিনগুলোতে আমাদের এ ধরনের মিউচুয়াল ডায়ালগ দুই দেশের স্বার্থে অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ।’

এ সময় চায়না অ্যাম্বেসডর ইয়াও ওয়েন জামায়াতে ইসলামীর আতিথেয়তায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি সুন্দর দেশ। জামায়াতে ইসলামী একটি সুশৃঙ্খল দল। চায়নার জনগণ বাংলাদেশের জনগণের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায়। আমরা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের উন্নতি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাব।’