আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শেষ, আওয়ামী লীগের মাথার সামনে আজরাইল চলে এসেছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ চর্তুদিকে ঘুরাঘুরি করতেছে, যদি আবারও কোনোভাবে ক্ষমতায় আসা যায়। আজকে ব্রাসেলস যাবেন (শেখ হাসিনা)। কিছুদিন আগে ১৮ দিন আমেরিকায় ঘুরাঘুরি করেছে। কোন লাভ নেই ঘুরাঘুরি করে, আপনাদের চলে যাওয়ার সময় চলে এসেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্যের ছাত্র কনভেনশন প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দুপুরে পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে ওই কনভেনশন শুরু হয়। সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়।
কনভেনশনে সারাদেশে ছাত্রদলের জেলা ও জেলার পদমর্যাদার ১১৭টি সাংগঠনিক ইউনিটের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকেরা এই ছাত্র কনভেনশনে অংশগ্রহণ করছেন। এছাড়াও বাকি ১৪টি ছাত্র সংগঠনের জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ তাদের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দূর্গা পূজার ছুটির মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক দাবি মেনে, পূজার পরে দেশের মানুষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে আনন্দে ভোট দিতে যাবে। আপনিতো বলেন পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল কত কি উন্নয়ন করেছে। তাহলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে ভয় কিসের? আপনি না উন্নয়ন করেছেন, জনগণতো আপনাকে ভোট দেয়ার কথা। আসলে আপনারা জানেন আপনার নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অস্তিত থাকবে না।
উপস্থিত ছাত্রনেতাদের উদেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, তরুণদের দেখে আমাদের মধ্যে আশা সঞ্চার হয়েছে। ছাত্রসমাজকে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সবাই মিলে রাজপথে নেমে ফ্যাসিবাদী এই সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবে। এরা সহজে দাবি মানবে না। আপনাদের এখন সময় এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দখলদার মুক্ত করার। কারণ গত ১৫ বছরে এই সরকার প্রতিটি ক্যাম্পাস দখল করে নিয়েছে। ঘরে বসে থেকে লাভ হবে না।
ছাত্র ঐক্যের সমন্বয়কারী ও ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খানের সভাপতিত্বে ও ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের সঞ্চালনায় কনভেনশনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ডাকসু’র সাবেক ভিপি ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণতন্ত্র মঞ্চ ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের জেনায়েদ সাকি, ডাকসু সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর প্রমুখ।
এছাড়াও ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্যের জোটে থাকা ১৪ টি ছাত্র সংগঠন- ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র অধিকার পরিষদ (নুর), ছাত্রলীগ (জেএসডি), গণতান্ত্রিক ছাত্রদল (এলডিপি), নাগরিক ছাত্রঐক্য, জাগপা ছাত্রলীগ (জাগপা-তাসমিয়া), ছাত্রফোরাম (গণফোরাম-মন্টু), ভাসানী ছাত্রপরিষদ, জাতীয় ছাত্রসমাজ (কাজী জাফর), জাতীয় ছাত্রসমাজ (বিজেপি-পার্থ), জাগপা ছাত্রলীগ (জাগপা-লুৎফর), ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ, বিপ্লবী ছাত্র সংহতি এবং রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা এতে বক্তব্য রাখেন।