রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
রোববার রাত সাড়ে ৮টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয় বলে জানান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন।
চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত এই চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের অন্যতম সদস্য জানান, ‘মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশে ম্যাডামকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিসিইউ থেকে কেবিনে নিয়ে আসা হয়েছে।কেবিনে সিসিই্উ’র সব সুবিধাদি রাখা হয়েছে এবং সিসিইউ’র নার্সরা কেবিনে তার সেবায় নিয়োজিত থাকছেন।’
অধ্যাপক জাহিদ বলেন, ‘ম্যাডামের শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।তার অবস্থা আগের মতোই আছে। সবগুলো প্যারামিটার আগের মতোই উঠানামা করছে।’
গত ১৩ নভেম্বর এভার কেয়ার হাসপাতালের কেবিনে ভর্তির পরদিনই লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার অবস্থার অবনতি হলে দ্রুতই তাকে সিসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় ৫৭ দিন পর তাকে আবার কেবিনে নিয়ে আসা হলো।
হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় নিয়োজিত আছেন। তারা ইতোমধ্যে তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানোর সুপারিশ করেছেন।সেই অনুযায়ী, পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার ছোটভাই শামীম এস্কান্দার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদনও করেন।সরকার সেই আবেদন নাকচ করে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া ২০০৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান। করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে গত বছরের ২৫ মার্চ সরকার শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এ পর্যন্ত তিন দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। তবে বিএনপির নেতারা খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষে এ মুক্তিকে ‘গৃহবন্দি’ বলছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার আবেদন করা হলেও সরকার তা নাকচ করে দেয়। তাকে দেশে থেকেই চিকিৎসা নিতে হবে বলে শর্তও দেওয়া হয়েছে।