নতুন বছরে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ইংরেজি নতুন বছরে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আশা করছি, এ নববর্ষে জনগণ মুক্ত হবে, গণতন্ত্র মুক্ত হবে এবং দেশনেত্রী মুক্তি পাবেন। দেশে অবশ্যই আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব।
শনিবার (১ জানুয়ারি) শেরেবাংলা নগরে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানানো হয়। ১৯৭৯ সালের ১ জানুয়ারি শিক্ষা, ঐক্য ও প্রগতি এ তিন মূলনীতিকে ধারণ করে জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদী ছাত্র দল গঠন করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লড়াই করছেন। আজকে ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করে শপথ নিয়েছেন যে, দেশনেত্রীর মুক্তি ও তার সুচিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানো এবং গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করার চলমান আন্দোলন আরও বেগবান করবেন। ২০২২ সালে তা সফল হব।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, তাকে যে বন্দি করে রাখা হয়েছে এবং তাকে যে সাজা দেওয়া হয়েছে এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক। আজ তাকে যে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না সেটা কোনো আইনি ব্যাপার নয়, এটা প্রতিহিংসার বিষয়।
তিনি আরও অনেক, আজকে শেখ হাসিনা তার ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার কারণেই এ ধরনের একটা অবস্থা তৈরি করে রেখেছেন। যাতে দেশনেত্রী কোনো চিকিৎসার সুযোগ না পান। যে অসুখটা তার রয়েছে তিনি যেন ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে চলে যান, এটাই তারা চাচ্ছে। তবে আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, এর দায়-দায়িত্ব সবই সরকারকেই বহন করতে হবে এবং এর পরিণতি যদি খারাপ হয় তারও দায় সরকারকে নিতে হবে।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা এই সংলাপকে অর্থহীন মনে করছি। আমরা মনে করি, বর্তমান সংকট রাজনৈতিক, কোনো নির্বাচন কমিশন গঠনের সংকট নয় বা আইন তৈরি করার সংকট নয়। প্রধান যে সংকট তা হচ্ছে নির্বাচনকালীন সময় কেমন সরকার থাকবে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, যদি আওয়ামী লীগ সরকার থাকে তাহলে সেই নির্বাচনের কোনো অর্থ হবে না। অবশ্যই আমরা বলেছি নির্বাচনকালীন সময়ে একটা নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার থাকতে হবে। যারা নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন পরিচালনা করবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ।