একাত্তর টেলিভিশনের হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন এক নারী। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি বাদী হয়ে গুলশান থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক মো. নুরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ৯ এর ১ ধারায় মামলা করা হয়েছে। ধর্ষণ ও ভ্রূণ হত্যার অভিযোগে শাকিল আহমেদের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাদী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারীর সঙ্গে শাকিল আহমেদের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই নারীকে বিয়ের আশ্বাসও দিয়েছিলেন শাকিল। একপর্যায়ে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হলে অভিযুক্ত শাকিল আহমেদ কৌশলে তার গর্ভপাত ঘটান। এরপর শাকিল তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান।
এদিকে বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) রাত ১২টায় ভুক্তভোগী ওই নারীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গুলশান থানা পুলিশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) নিয়ে আসে।
ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মামুন বলেন, ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষার জন্য আমরা তাকে ঢাকা মেডিকেলের ওসিসিতে নিয়ে এসেছিলাম। তাকে এখানে ভর্তি করা হয়েছে। গুলশান থানায় ধর্ষণ ও গর্ভপাতের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই চিকিৎসক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া বলেন, গুলশান থানা পুলিশ একজন ভিকটিমকে রাতে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ঢামেক হাসপাতালের ওসিসিতে নিয়ে আসে। তাকে এখানেই ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগকারী নারী একজন চিকিৎসক, তিনি এর আগে শাকিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলনও করেছিলেন।
তাতে তিনি বলেন, তিনি চাকরির জন্য সাত-আট মাস আগে শাকিলের কাছে গিয়েছিলেন। তখন তার সঙ্গে শাকিলের ঘনিষ্ঠতা হয়েছিল।
এক পর্যায়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শাকিল তার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে দাবি করে ওই নারী বলেন, তাতে তিনি গর্ভবতী হন। পরে শাকিলের কথায় তিনি ভ্রূণ নষ্ট করলেও শাকিল প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাকে বিয়ে করেননি।
ওই নারী আরও অভিযোগ করেন, এরপর চিকিৎসক হিসাবে যেখানে তিনি চাকরি করতেন, সেখান থেকে শাকিল প্রভাব খাটিয়ে তাকে ছাঁটাই করান।
অভিযোগের বিষয়ে শাকিল বলেন, “আমি দারুণ ‘শকড’। তারপরও যে কোনো তদন্ত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সত্য বের হয়ে আসবে।
“যেহেতু একাত্তর টেলিভিশনের বার্তা প্রধানের দায়িত্বে আছি, ব্যক্তি আমি বলে না, ৭১ এ বার্তা প্রধান আছি বলেই আমি একটা মহলের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছি।”