নুরুল হক নুর ও রেজা কিবরিয়ার দ্বন্দ্বে গণঅধিকার পরিষদ ভেঙে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এরপর একটি অংশের আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন রেজা কিবরিয়া। এবার সেই অংশ থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি। গত ৩১ ডিসেম্বর দল থেকে পদত্যাগের বিষয়টি চিঠি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) গণঅধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ফারুক হাসান বলেন, আলোচনার ভিত্তিতে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে পদত্যাগ পত্রে রেজা কিবরিয়া উল্লেখ করেন, আমি গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করছি এবং আমার পদত্যাগপত্র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদে জমা দিয়েছি। এছাড়া আমি গণঅধিকার পরিষদের দলীয় সদস্যপদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছি। দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মসিউজ্জামনকে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করছি।
তিনি আরও বলেন, আমাকে দলের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেওয়ার জন্য গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের প্রতি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। গত ২ বছর ২ মাস আপনাদের সঙ্গে কাজ করতে পেরে অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি।
রেজা কিবরিয়া বলেন, ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে গণঅধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পূর্বে আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরকারি নীতি নিয়ে কাজ করি। এক পর্যায়ে আমার মনে হয়েছে যে নিজ দেশের জনগণের জন্য কাজ করার সময় এসেছে। এ ধরনের সুযোগ হয়তো ভবিষ্যতে নাও আসতে পারে, আমার বাবা শাহ এ.এম.এস. কিবরিয়ার মতো আমি জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই।
আশা করি আগামী দিনগুলোতে দেশে মুক্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করে যাব বলে উল্লেখ করে রেজা কিবরিয়া।