পত্রিকা খুললেই পরীমণি, খুকুমণি আর দীপু মনিদের কাহিনি। এসব দেখলে বাংলাদেশের বর্তমান ও নতুন প্রজন্ম হতাশ হয়। লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে পরীমণি আর খুকুমণিদের, যাতে নেতৃত্ব দূষিত হয়, সমাজ দূষিত হয়, এসব ষড়যন্ত্র। একাদশ জাতীয় সংসদের ষোড়শ অধিবেশনে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাব আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন মৌলভীবাজার-২ আসনের সাংসদ সুলতান মোহাম্মদ মনসুর।
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে মনসুর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে আন্দোলন-সংগ্রাম করে ছাত্রসমাজকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। কাল দেখলাম ড. জাফর ইকবাল শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙিয়েছেন। সেখানে আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ছিলেন না? ওই অঞ্চলে কি কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্ব নেই? তাহলে কী প্রমাণিত হলো? জানি আমি জাফর ইকবাল গিয়েছেন, তিনি নিজের ইচ্ছায় গিয়েছেন, তা আমি মনে করি না। নিশ্চয়ই আমাদের সংসদ নেত্রী সে ব্যবস্থা করেছেন।
চলতি বছরকে সংকটকাল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২২ সাল যেমন অমিক্রনের জন্য সংকটকাল, আমি মনে করি রাজনীতির জন্যও সংকটকাল। দেশে উন্নয়নের জোয়ার সৃষ্টিকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য, ধ্বংস করার জন্য অনেকে অনেকভাবেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। জাতির জনকের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের বাংলাদেশ আর সংসদ নেত্রীর স্বপ্ন অগ্রগামী বাংলাদেশ, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, উন্নত বাংলাদেশ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ তখনই প্রতিষ্ঠা হবে, যখন মেধাসম্পন্ন, যোগ্যতাসম্পন্ন ও সৎ নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশের সরকার ও রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।