শেখ হাসিনা সরকারের কাছে নির্বাচনের দাবি করার প্রয়োজন নেই। সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শনিবার বিকেলে দলটির দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা বলেছেন, বিএনপি অংশ নেয়নি তাই রাষ্ট্রপতির সংলাপ অর্থহীন। তারা ছাড়াও দেশে আরও রাজনৈতিক দল আ ছে এ কথা সম্ভবত তারা ভুলে গেছেন। দলটি অংশ না নিলে কোনো কিছুই থেমে থাকবে না, থেমে থাকবে না রাষ্ট্রের গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা।
তিনি বলেন, বিএনপির কাজই হলো সরকার এবং দেশের কল্যাণকর যেকোনো প্রয়াস ও অর্জনকে বিতর্কিত করা। সবকিছু নিয়ে বিতর্ক করতে গিয়ে আজ জনগণের কাছে তারাই বিতর্কিত। অপরিণামদর্শী রাজনীতির কারণে আজ তারা গভীর খাদের প্রান্তে। তাদের হাঁক-ডাক নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করা এবং নেতাকর্মীদের মনোবল ধরে রাখার ব্যর্থ প্রয়াস ছাড়া আর কিছুই নয়।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে নির্বাচন দাবি করেছেন। তাকে বলতে চাই, শেখ হাসিনা সরকারের কাছে নির্বাচন দাবি করার প্রয়োজন নেই। দেশে যথাসময়ে সরকারের মেয়াদ শেষে সাংবিধানিক বিধি-বিধান অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নিয়ে ন্যূনতম সংশয়ের অবকাশ নেই।
কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচন দাবি করলেও নির্বাচনের মাঠ থেকে শেষ মুহূর্তে সরে যায় কি না জনগণ সে আশঙ্কায় রয়েছে। কারণ তারা নির্বাচন ও জনগণকে ভয় পায়। তারা কখনো গণরায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়।
তিনি বলেন, নির্দলীয় সরকার প্রশ্নে বলতে চাই আগামী জাতীয় নির্বাচন বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি নেত্রীই একসময় বলেছিলেন, শিশু ও পাগল ছাড়া নিরপেক্ষ কেউ নেই। আমরা বলতে চাই, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু এখন অতীত ইস্যু এবং দেশের উচ্চ আদালত কর্তৃক মীমাংসিত বিষয়। এ নিয়ে মাঠ গরম করে কোনো লাভ নেই। বরং নতুন বছরে বিএনপিকে রাজনীতিতে ইতিবাচক ধারা প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের পাশে থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।