সদ্য পদ হারানো তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ও মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলা খারিজ করে দিয়েছেন ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনাল।
মামলা গ্রহণ করার মতো ‘উপাদান না থাকায়’ সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত মামলাটি খারিজের এ আদেশ দেন।
এর আগে ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামস জগলুল হোসেন মামলার বাদী ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। সে সময় আদালত বলেন, মামলাটি আমলে নেওয়া হবে কি না সে আদেশ পরে দেওয়া হবে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ডা. মুরাদ হাসানের দেওয়া এবং মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদের ধারণ করা সাক্ষাৎকারটি পরবর্তীতে মুরাদ হাসান তার ভেরিফাইয়েড ফেসবুক পেজে প্রচার ও প্রকাশ করে জিয়া পরিবার তথা জিয়া পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য ব্যারিস্টার জাইমা রহমান এবং সর্বোপরি নারী সমাজের প্রতি অবমাননাকর, অপমানজনক এবং আইনত শাস্তিযোগ্য হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে অত্র মামলাটি দায়ের করা হলো।
এতে আরও বলা হয়, আসামিরা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রকাশ এবং প্রচারের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা, বিদ্বেষ ও মানহানিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৯/৩১/৩৫ ধারার অপরাধ করেছেন বলে এই মামলা দায়ের করা হয়।
সম্প্রতি একটি ভার্চুয়াল টকশোতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়েকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন ডা. মুরাদ হাসান। এরপর তার সমালোচনা করেন অনেকে। এছাড়া তার পদত্যাগের দাবিও উঠে।
এদিকে ঢাকাই সিনেমার এক নায়িকার সঙ্গে অডিও ফাঁসের ঘটনায় নানা সমালোচনার মুখে পড়েন ডা. মুরাদ। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। একইসঙ্গে জামালপুর আওয়ামী লীগেরও পদ হারান।