হেফাজত ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হককে খুলনার একটি আদালতে হাজির করা হবে আজ। ২০১৩ সালে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। রোববার (০৫ সেপ্টেম্বর) ওই মামলায় তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
এর আগে শুক্রবার (০৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কাশিমপুর কারাগার থেকে একটি প্রিজন ভ্যানে তাকে খুলনায় আনা হয়।
খুলনা জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানার একটি মামলায় খুলনা অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে রোববার হাজিরা দেওয়ার জন্য মামুনুল হককে জেলা কারাগারে আনা হয়।
আদালতে দাখিল করা মামলার চার্জশিট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেল সোয়া ৪টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাতিল, গ্রেফতার করা যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি ও সরকার বিরোধী শ্লোগান দিয়ে জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি ও হেফাজতে ইসলামীসহ ১২ দলের প্রায় ৩ হাজার মানুষ মিছিল বের করে। মিছিলটি নগরীর ডাকবাংলা ও ময়লাপোতা মোড় হয়ে শিববাড়ি মোড়ে গণজাগরণ মঞ্চের দিকে যাচ্ছিল। ফুজি কালার ল্যাবের সামনে পৌঁছালে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়।
এ সময় অংশগ্রহণকারীরা মিছিলের মধ্য থেকে পুলিশের ওপর ককটেল বোমা ও গুলি নিক্ষেপ করতে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। নিক্ষিপ্ত বোমার আঘাতে কিছু পুলিশ সদস্য আহত হয়। সে সময় তাদের চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ২৬ জনকে গ্রেফতার করে থানায় আনা হয়।
এ ব্যাপারে ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ সোনাডাঙ্গা থানার এসআই আলমগীর কবীর বাদী হয়ে খুলনা মহানগর ইমাম পরিষদের কয়েকজন নেতা ও মাওলানা মামুনুল হকসহ ২৬ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।
চার্জশিটে আরও উল্লেখ করা হয়, উক্ত ঘটনার আগের দিন ময়লাপোতা মসজিদ মোড়ে ওয়াজ করার সময় হাফেজ মামুনুল হকসহ অন্যান্যরা সংগঠিত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও গণজাগরণ মঞ্চ ভাঙচুরসহ পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য অনুসারীদের নির্দেশ দেন। ২০১৫ সালের ২১ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. মোক্তার হোসেন ১০৭ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এসএম আশিকুর রহমান পূর্ববর্তী একটি কার্য দিবসে মামুনুল হককে রোববার আদালতে উপস্থিত করার জন্য নির্দেশ দেন। এ কারণে শুক্রবার তাকে কাশিমপুর কারাগার থেকে খুলনা কারাগারে আনা হয়।