<< নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে নৌকার মাঝি আইভী

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়।

আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নারায়ণগঞ্জ থেকে আইভী ছাড়াও মেয়র পদের জন্য মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, জেলার সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল ও মহানগরের সহ-সভাপতি চন্দন শীল দলের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছিলেন।

ইসি গত ৩০ নভেম্বর (মঙ্গলবার) নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। তফসিল অনুযায়ী, ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। মনোনয়নপত্র বাছাই ২০ ডিসেম্বর ও প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৭ ডিসেম্বর এবং ভোট ১৬ জানুয়ারি।

আইভী ১৯৬৬ সালে নারায়ণগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আলী আহাম্মদ চুনকা বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে জয় লাভ করে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি দেওভোগ আখড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ প্রিপারেটরি স্কুল, মর্গ্যান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়শোনা করেন। ১৯৮৫ সালে রাশিয়া সরকারের বৃত্তি নিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানে শিক্ষা গ্রহণের জন্য ওডেসা পিরাগোব মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন এবং ১৯৯২ সালে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে ১৯৯২-৯৩ সালে মিডফোর্ট হাসপাতালে ইন্টার্নি সম্পন্ন করেন। কর্মজীবনে তিনি ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত মিডফোর্ট হাসপাতালে এবং ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে অনারারি চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেন।

আইভী শিক্ষার্থী থাকাবস্থায় পিতার সঙ্গে রাজনীতে যুক্ত হন। ১৯৯৩ সালে তিনি নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ২০০৩ সালে অনুষ্ঠিত পৌর চেয়ারম্যান নির্বাচনে অংশগ্রহণ জয়লাভ করে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার প্রথম নারী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর নারয়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি মেয়র হিসেবে জয়লাভ করেন। ২৭ নভেম্বর তিনি দেশের প্রথম নারী সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন এবং ১ ডিসেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর দ্বিতীয় নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হন। ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি মেয়র হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ গ্রহণ করেন।